আজকের মেনু কী? মাছ ভাত না খিচুড়ি? সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুল পৌঁছতেই জল্পনা
অনাস্থা মোকাবিলায় ফের মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ সব্যসাচী দত্তের
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম দিন ছিল লুচি, আলুর দম, তারপর বাড়িতে খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, শেষে পরোটা-ডাল ফিস কাটলেট! আজ তবে কী? ‘দাদা’ মুকুল রায় সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে পৌঁছতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এতদিন সৌজন্যবশত ‘ভাই’ সব্যসাচীর বাড়িতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। আজ তবে কী মনে করে? বঙ্গ রাজনীতিতে এখন একজনই লাইমলাইটে। আর একটি বিষয়ই ভীষণভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সব্যসাচী দত্ত কি তবে এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? ঘনঘন মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত্ সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে।
রবিবারের পর বৃহস্পতিবার সকালে ফের সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। বেলা পৌনে একটা নাগাদ তিনি সব্যসাচী দত্তের বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামেন। একটু দাঁড়িয়ে সেখানে থেকে ঘুরে যান। তার কিছুক্ষণ পর ফের ফিরে আসেন তিনি। এরপর সোজা সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস।
প্রসঙ্গত, তৃনমূল ভবনে বিধায়কদের নিয়ে আজ বৈঠকে বসবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে নিউটাউন রাজারহাটের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এবিষয়ে জানতে সব্যসাচী দত্তকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “বিধাননগরের বিভিন্ন লোকজন আসছে সেই কারণে ব্যস্ত থাকব।”
বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল প্রস্তাব, বাড়ল পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী, বিধায়কদের ভাতা
তবে কি মুকুল রায়ের জন্যই বাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন সব্যসাচী দত্ত? তাঁকে আপ্যায়ন করতেই কি নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি? যদিও এই প্রথম নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই দলীয় মিটিং, কর্মসূচি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। দলও এখন তাঁকে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে। এমনকি সব্যসাচী দত্তের আরও এক ‘দাদা’ ফিরহাদ হাকিমও তাঁকে ‘দল ছাড়লে ভালো হয়’ বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় গত সোমবার যখন বিধাননগর পুরনিগমে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হচ্ছিল, তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন?” তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “উনি রাজ্য চালান, খুবই ব্যস্ত। তবে আমাকে ডাকলে নিশ্চয়ই যাব।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের ডাকা সত্ত্বেও কেন তিনি না গিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে বাড়িতে ‘সৌজন্য সাক্ষাত্’-এ বসলেন! কার্যত এর মাধ্যমে সব্যসাচী দত্ত পাল্টা বার্তা দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, অনাস্থার মুখে পড়েও শেষমুহূর্ত পর্যন্ত হার মানতে নারাজ তিনি। শাসকের উল্টোদিকে তাঁর শক্তিও নেহাত কম নয়।