ওয়েব ডেস্ক: চিঠিতে জলজ্যান্ত রোগীকে মৃত বানাল খোদ মেডিক্যাল কাউন্সিল। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর চিকিত্‍সায় গাফিলতির অভিযোগে মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছিল রোগীর পরিবার।  কিন্তু একবালতি দুধে একফোঁটা চোনা। জ্যান্ত রোগীকে মৃত উল্লেখ করে চিকিত্‍সকদের শোকজ করে চিঠি দেয় কাউন্সিল। ভুল শোধরাতে গিয়ে আরও এক মহাভুল। চিঠির বয়ানে জ্যান্ত রোগীই হয়ে গেল মৃত।কয়েক মাস আগের ঘটনা। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইউটেরাসে অস্ত্রোপচার হয় বছর চল্লিশের মণিষা চক্রবর্তীর। অভিযোগ, ইউটেরাস বাদ দিতে গেয়ে ইউরিনারি ট্র্যাক কেটে ফেলেন চিকিত্‍সক।  ৩ চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিলের দ্বারস্থ হয় রোগীর পরিবার। ৩ চিকিত্‍সককে  চিঠি পাঠায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। চিঠির কপি হাতে আসে  রোগীর পরিবারের হাতেও।  চিঠি দেখে  চোখ ছানাবড়া রোগী ও তাঁর স্বামীর। চিঠিতে মণিষা চৌধুরী ও তাঁর স্বামী দেবাশিস চৌধুরী দুজনকেই  মৃত বলে  উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দেবাশিষ চক্রবর্তী যে অভিযোগ আমাদের জানিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে আপনাদের চিকিত্‍সার কারনেই তাঁর এবং তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আপনারা এর কারন জানান। নিজেদের চিকিত্‍সাগত যোগ্যতার নথি এবং তাঁর শংসাপত্রের প্রতিলিপি ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের পাঠান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নামল কলকাতা পুলিস


চিঠি পেয়ে হতবাক রোগীর পরিবার। জীবিত লোককে মৃত দেখানো হয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিলের শোকজ লেটারে।  কী করা যায় এই  ভাবতে ভাবতেই কেটে যায় একটা মাস। একমাস পর চিকিত্‍সকদের কাছে আসে মেডিক্যাল কাউন্সিলের আরও একটি  চিঠি। সেই চিঠির কপিও আসে রোগীর পরিবারের কাছে।  সেখানে মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে  ভুল স্বীকার করা হয়। তাতে লেখা হয়েছে, ভুলবশত দেবাশিস চক্রবর্তীর স্ত্রীকে মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা এরজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ওঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করি।


আরও পড়ুন  সিঁথি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রৌঢ়ের মৃত্যু