নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (SAIL) কাঁচামাল বিভাগের সদর দফতর কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার ফলে প্রত্যক্ষভাবে কাজ হারাতে চলেছেন বহু কর্মী। অপ্রত্যক্ষ কয়েক হাজার শ্রমিকের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সংস্থার কর্মীরা। এরপরই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে (Dharmendra Pradhan) চিঠি দিয়ে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। 
   
সেইলের (SAIL) কাঁচামাল বিভাগের সদর দফতর বা আরএমডি-তে স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫০। এছাড়া রয়েছেন বহু অস্থায়ী কর্মী। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ওই কর্মীরা ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করছেন। ধর্মেন্দ্র প্রধানকে (Dharmendra Pradhan) চিঠিতে অমিত মিত্র (Amit Mitra) লিখেছেন,''কলকাতা থেকে সেইলের কাঁচামালের সদর দফতরটি গুটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিস্মিত। এর ফলে কোভিড অতিমারীর মাঝে কাজ হারাতে পারেন বহু চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক। বদলির জেরে পরিবার নিয়ে সঙ্কটে পড়বেন কয়েক হাজার স্থায়ী কর্মী।'' তবে সমস্যায় পড়বে সেইলের কাঁচামালের উপরে নির্ভরশীল পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর ও বার্নপুরের ষ্টিল প্লান্ট। কাঁচামালের জন্য রৌরকেলা ও বোকারোর অনুকম্পায় তাদের থাকতে হবে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন অমিত মিত্র। তাঁর যুক্তি,''খোলাবাজারে লৌহগুঁড়োর প্রতি টনের দাম ৯ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু সেইলের কাঁচামাল বিভাগ তা পাঠায় টন পিছু ৬৫০ টাকায়। ফলে বাজার থেকে কিনতে হলে দুটি কারখানা প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবে না। ক্রমেই অদক্ষ, রুগ্ন ও লোকসানে চলা সংস্থা হয়ে উঠবে তারা। দুটি সংস্থা মিলিয়ে ১৪,৪০০ জন শ্রমিক কর্মরত। তাঁরা সকলে কাজ হারাবেন। উল্লেখ্য, দুটি সংস্থাই লাভজনক। ১৪৮৬ কোটি টাকা লাভ করেছে তারা।''    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) জড়িত বলেও জানতে পেরেছেন অমিত মিত্র (Amit Mitra)। তাঁর কথায়,''দিল্লির ইস্পাত ভবনে সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেইলের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তাঁদের অআনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, কাঁচামালের সদর দফতর সরানো, দুর্গাপুর ও বার্নপুরকে খনিজ না দেওয়ার মতো দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাননীয় মন্ত্রী নিজেই। ঘটনাচক্রে বিজেপির নির্বাচনী হারের পর কাঁচামালের সদর দফতর সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। দুটি লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাঁচানোর জন্য ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে আবেদন করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।'' 


রাজ্য সরকারের আশঙ্কা, এই সিদ্ধান্তের ফলে আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বহু শ্রমিক কাজ হারাবেন। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। একইসঙ্গে সরব হবেন তৃণমূল সাংসদরা।  


আরও পড়ুন- সমস্ত সম্পত্তির 'মালকিন' Baishaki,দুঃসময়ে পাশে থাকা বান্ধবীকে লিখে দিলেন Sovan


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)