কী বললেন অমিত শাহ, জেনে নিন ২০টি পয়েন্টে
এদিন এবিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগ তোলেন বিজেপি সভাপতি। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ক্রিশ্চান শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে আইন পাশ করিয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করেন কি না স্পষ্ট করুন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শরণার্থী নয়, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এনআরসি-র তালিকা তৈরি হচ্ছে অসমে। মোয়ো রোডের সভা থেকে এমনটাই বললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, এদেশের কোনও নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল হবে না। আর শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর কোনও প্রশ্নই নেই।
এদিন এবিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগ তোলেন বিজেপি সভাপতি। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ক্রিশ্চান শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে আইন পাশ করিয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করেন কি না স্পষ্ট করুন।
হিন্দু শরণার্থী এদেশেই থাকবেন, মমতা সমর্থন করবেন তো? পাল্টা চ্যালেঞ্জ অমিতের
মমতাকে অমিত শাহের কটাক্ষ, বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মানবাধিকার নিয়ে মমতার দুশ্চিন্তা আছে, অথচ এদেশে বসবাসকারী হিন্দু, মুসলিমদের অধিকার নিয়ে উদাসীন তিনি।
এক নজরে দেখে নিন এদিন কী বললেন অমিত শাহ -
১. বাংলায় পরিবর্তন হতে চলেছে। এই সভা তাই দেখাচ্ছে।
২. সভার আয়োজনে নানা বাধা দেওয়া হয়েছে। বাংলার জনতা দেখতে না পায় সেজন্য টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৩. মমতা দি, কান খুলে শুনে নেও। আমাদের আওয়াজ আটকানো যাবে না। আমরা সারা বাংলায় যাব। তৃণমূলকে উপড়ে ফেলব। গণতন্ত্রে কেউ কণ্ঠরোধ করতে পারে না।
৪. এয়ারপোর্টে ব্যানার লাগিয়েছে। বাংলাবিরোধী বিজেপি গো ব্যাক। আমরা কী করে বাংলাবিরোধী হতে পারি। আমাদের পার্টির স্থাপনা এক বাঙালিই করেছিলেন।
৫. আমরা বাংলা বিরোধী নই, তবে মমতা বিরোধী। তৃণমূলের বিরোধিতা করতে এখানে এসেছি।
৬. কিছুদিন আগে সংসদে এনআরসি নিয়ে আলোচনা চলছিল। পুরো দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করছিলেন।
৭. এনআরসি হল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে বার করার প্রক্রিয়া। এরআরসি মমতার বিরোধিতায় রুখবে না।
৮. রাহুল গান্ধী বিরোধিতা করুক। কিন্তু আমরা অসমে এনআরসি সম্পূর্ণ করব। প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করব।
৯. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানান, তিনি আফগান, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ ও ক্রিশ্চান উদ্বাস্তুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে, না বিপক্ষে?
১০. মমতা দিদি কেন অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিতে চান। ২০০৫ সালে এরা সিপিএমকে ভোট দিত। লোকসভা বন্ধ করে মমতা বলেছিলেন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাও। আজ সেই অনুপ্রবেশকারীরাই মমতার ভোটার।
১০. মমতা দি স্পষ্ট করুক, দেশের নিরাপত্তা আগে না ভোটব্যাঙ্ক আগে।
১১. এনআরসি অসম চুক্তি অনুসারে কাজ করছে। ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধী এই চুক্তি করেছিলেন। আজ রাহুল গান্ধী সেই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন।
১২. বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বিপদ কি বিপদ নয়? বাংলাদেশিরা বোম ফাটায়? তাদের ফেরত পাঠানো উচিত।
১৩. আমাদের কাছে দেশ আগে পরে ভোটব্যাঙ্ক। যতই বাধা দেও এনআরসি বন্ধ করব না।
১৪. তৃণমূল ভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এনআরসির আওতায় শরণার্থীরাও ফেরত চলে যাবে। আমি আশ্বস্ত করছি একজনও ফেরত যাবে না। আমাদের সরকার আইন করেছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান আফগানিস্থানের শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। কোথায় যাবে শরণার্থীরা?
১৫. অনুপ্রবেশকারীদের মানবাধিকারের কী হবে? তৃণমূলের কি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের, মুসলিমদের মানবাধিকারের চিন্তা নেই। এদের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা।
১৬. অনুপ্রবেশ বন্ধ না করলে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানো যাবে না।
১৭. কেন্দ্রের পাঠানো টাকা যাচ্ছে কোথায়? দুর্নীতি করে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে তৃণমূল। যখন থেকে তৃণমূলের সরকার এসেছে, নারদা, সারদা, রোজভ্যালি, সিন্ডিকেট, ভাইপো, কোল মাফিয়া, পোর্ট মাফিয়া, ক্যাটেল মাফিয়ারা পশ্চিমবঙ্গ দখল করে নিয়েছে।
১৮. গোটা দেশের ১৯ রাজ্যে বিজেপির সরকারের কোনও মানে নেই যতক্ষণ না পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন না হচ্ছে।
১৯. কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল এরাজ্যের উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। একমাত্র বিজেপিই পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন করতে পারে।
২০. স্বাধীনতার সময় দেশের অর্থনীতিতে ২৫ শতাংশ যোগদান ছিল পশ্চিমবঙ্গের। এখন তা কমে ৩ শতাংশে দাঁড়িয়ে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি।