হিন্দু শরণার্থীরা এদেশেই থাকবেন, মমতা সমর্থন করবেন তো? পাল্টা চ্যালেঞ্জ অমিতের
অসমের নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতে কলকাতার মঞ্চকে বেছে নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর হুঙ্কার, অসমের অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবেই। বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে অনুপ্রেবশ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে ওনাদের''।
অসমের নাগরিকপঞ্জির প্রভাব এরাজ্যেও আশঙ্কা তৈরি করেছে। আন্দোলনে নেমেছে মতুয়া সম্প্রদায়। এদিন অমিত শাহ বুঝিয়ে দিলেন, হিন্দুরা শরণার্থীরা। তাঁরা এদেশেই থাকবেন। কলকাতায় যুবমোর্চার সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তৃণমূল। বলছে, ''শরণার্থীদেরও চলে যেতে হবে। বাংলায় শরণার্থীরা এখানেই থাকবেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনেছে বিজেপি সরকার। এই বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্ট্রানরা শরণার্থী হিসেবে নাগরিকত্ব পাবেন। তৃণমূলকে জিজ্ঞেস করতে চাই, রাজ্যসভা ও লোকসভায় যখন বিলটি আসবে, আপনারা সমর্থন করবেন তো! লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে এনিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে''।
অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতা মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ''রাজীব গান্ধীর জমানায় অসম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। অসম থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবেই।''
অমিত আরও বলেন,''দুর্গা বিসর্জন আটকাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দিচ্ছেন। তোষণের একটা সীমা থাকা দরকার''। মোদীর সেনাপতির হুঙ্কার, ''বিজেপি সরকারে আসছে দুর্গা বিসর্জনও হবে। স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজোও হবে। এবার দুর্গা বিসর্জন আটকানোর হিম্মত করলে মমতার সচিবালয়ের এক একটা ইট ধসিয়ে দেব''।
আরও পড়ুন- ভাগতে ভাগতে যুব মোর্চার সভায় অমিত শাহের 'ভাই' হয়ে গেলেন মুকুল রায়