Partha Chatterjee, Bengal SSC Scam: জেলে বসেই সাহায্যের হাত বাড়ালেন পার্থ, ধরতে রাজি নন অর্পিতা!
Partha Chatterjee, Bengal SSC Scam: ঘনিষ্ঠের কাছে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় জানান, ওদের সাহায্য নেবেন না। পার্থর পিছু ছাড়াতে চাইছেন অর্পিতা! একা লড়ার সিদ্ধান্ত। `অ-পা`র মাঝে কেন বিচ্ছেদ?
অর্ণবাংশু নিয়োগী: জেলে বসেই অর্পিতাকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন পার্থ। কিন্তু সেই 'হাত' ধরতে রাজি নন অর্পিতা। 'অ-পা'র মাঝের দূরত্ব ৫০০ মিটার! তবুও 'বান্ধবী'র চিন্তায় মগ্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! জেলে বসেই সাহায্যের হাত বাড়াতে প্ৰস্তুত পার্থ। কিন্তু সেই সাহায্যের হাত ধরতে রাজি নন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত 'অ-পা' বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। অন্যদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় আছেন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। যার মাঝের দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় প্রেসিডেন্সি জেলে বসেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাইছেন পার্থ। বিশেষ সূত্রের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের ঘনিষ্ঠের কাছে তেমন ইচ্ছা-ই প্রকাশ করেছেন। তিনি নাকি বলেন, 'আমার জন্য ও সমস্যায় আছে। ওকে তোমারা আইনি সহায়তা দিও!'
আরও পড়ুন, Arpita Mukherjee, Bengal SSC Scam: জেলেও 'সেলেব' অর্পিতা! কী স্পেশাল ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন?
তবে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের এই সাহায্যের হাত ধরতে আপাতত রাজি নন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। তিনি চাইছেন, একাই আইনি লড়াই লড়তে। সূত্রের খবর, অর্পিতার কাছে এই প্রস্তাব পৌঁছালে, তিনি ঘনিষ্ঠের কাছে জানান, ওদের সাহায্য নেবেন না। আলাদা আইনজীবীরা তাঁর হয়ে মামলা লড়বেন। কিন্তু 'অ-পা'র মাঝে কেন বিচ্ছেদ? আইনজীবীদের মতে, এই অবস্থায় যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা অর্পিতাকে আইনি সাহায্য দেন, তাহলে নানা রকম প্রশ্ন উঠতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন পার্থর সাহায্য নিল অর্পিতা? তাই এই বিষয়টি এড়াতেই একা লড়ার সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি, ইডির তল্লাশিতে দুজনের বহু যৌথ সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, জীবন বিমাতেও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে 'আঙ্কল' বলে পরিচয় দিয়েছেন অর্পিতা। জীবন বিমার কপি হাতে আসতেই যার প্রমাণ মিলেছে। সেক্ষেত্রে আলাদা আইনজীবী নিয়ে আইনি লড়াই লড়লেই একমাত্র পিছু ছড়ানো সম্ভব!
আরও পড়ুন, SSC Scam, Parth Chatterjee: খোঁচা খোঁচা দাড়ি ছেঁটে ফের ফ্রেঞ্চ কাট-এ ফিরলেন পার্থ
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মাত্র ৮ দিনের ব্য়বধানে ৩০টি পলিসি করেছিলেন অর্পিতা। বাকি ৩টি পলিসি তিনি করেন ২০১৫ সালে। সবকটি পলিসিতেই সিঙ্গল প্রিমিয়াম। মানে বছরে একবার প্রিমিয়াম দিতে হয়। সেই সব প্রিমিয়ামের টাকা নগদেই দিয়েছিলেন অর্পিতা। পলিসিতে প্রায় ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। যারমধ্যে ৩০টি পলিসি ইতিমধ্যেই ম্যাচিওর করে গিয়েছে। সেই বাবদ ৫৬ লাখ টাকা অর্পিতার অ্য়াকাউন্টে জমাও পড়েছে। এনএএফটির মাধ্যমে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্য়াঙ্কের ডানলপ শাখায় জমা পড়ে সেই টাকা। উল্লেখ্য, পার্থ-অর্পিতা দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত জেলে থাকবেন পার্থ-অর্পিতা।