নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঁধভাঙা আবেগ। বিজেপির সদর দফতর থেকে বিজয় ঘাট, প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ, অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষযাত্রায় এদিন জনতার ঢল নামল রাজধানীর পথে। বিজয় ঘাটে রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থলে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য। পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেছে বাজপেয়ীর নশ্বর দেহ। প্রিয় নেতাকে হারিয়ে শোকবিহ্বল শাসক-বিরোধী সব শিবিরই। ভিড় করে আসছে প্রিয় নেতার সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন সময়ের স্মৃতি। স্মৃতির ঝাঁপি থেকে অটলজির স্বভাব-ব্যক্তিত্বের এমনই কিছু অজানা কথা জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন তৃণমূল নেত্রী কৃষ্ণা বসু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, "অনেক কথা মনে পড়ছে..." আবেগঘন মমতা


কৃষ্ণা বসু জানান, খুব খেতে ভালোবাসতেন অটলজি। নানা ধরনের খাবার খেতে ভালোবাসতেন। এককথায় ভোজনরসিক যাকে বলে। বাজপেয়ীর এই খাদ্যপ্রীতি চাপা থাকত না বিভিন্ন কূটনৈতিক বৈঠকে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতিদের সফরের সময়েও। গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠক। বৈঠক টেবিলে উপস্থিত ভিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, তাঁর স্ত্রী থেকে অন্য কূতনৈতিক প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই বেশ মনোযোগ দিয়ে খেয়ে যেতেন বাজপেয়ী।


আরও পড়ুন, সংসদে দাঁড়িয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে 'দুর্গা' বলেছিলেন বাজপেয়ী


কৃষ্ণা বসু বলছেন, প্রোটোকল অনুযায়ী কূটনৈতিক বৈঠকগুলিতে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করা হত। আলোচনার মাঝে মাঝে সব পদগুলিই খুব মনোযোগ দিয়ে খেতেন বাজপেয়ী। মাঝে মাঝে তাঁরা অটলজিকে দেখে অবাক হয়ে যেতেন। দেখতেন, খাওয়ার সময় খাবার ছাড়া বাকি কোনওদিকে মন দিতেন না বাজপেয়ী। একটা পদ শেষ করার পর পরবর্তী পদ আসার মাঝে সেরে নিতেন আলোচনা। তারপর পরবর্তী পদ চলে এলে, আবার খাওয়ায় মনোনিবেশ করতেন।


আরও পড়ুন, আমি প্রস্তাব দিলে কখনও 'না' বলতেন না : আডবাণী


বাজপেয়ীর এই খাদ্যপ্রীতি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থাতেও বজায় ছিল। কোনও নড়চড় হয়নি তাতে। কৃষ্ণা বসু জানিয়েছেন, হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের সময় বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অটলজি। সেইসময় হাসপাতালে তাঁর জন্য বাড়ি থেকে বিভিন্নরকম খাবার আসত। হাসপাতালের খাবার বাজপেয়ী খেতেন না। তাঁর জন্য মেয়ে নমিতা এক-একদিন এক-একরকম রান্না করে নিয়ে আসতেন। সেই খাবার খুব তৃপ্তি করে খেতেন বাজপেয়ী।


আরও পড়ুন, লুকিয়ে বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন জ্যোতি বসু!


প্রসঙ্গত, মাছ খেতে খুব ভালোবাসতেন বাজপেয়ী। কলকাতায় এসে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে মাছ খেতেন। পাশাপাশি পার্কস্ট্রিটের রেস্তরাঁয় গিয়েও বিভিন্ন আমিষ খাবার খেতেন ভোজনবিলাসী বাজপেয়ী।