নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতায় এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কীভাবে জালিয়াতি হচ্ছে? কারা করছে? এটিএম জালিয়াতির কৌশল নিয়ে গোয়েন্দাদের অনুমান, এবার অত্যাধুনিক স্কিমিং মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। যা দিয়ে একদিকে কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপের ট্র্যাক ১ ও ট্র্যাক ২-এর তথ্য কপি হয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে কপি হয়ে যাচ্ছে চিপের তথ্যও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোয়েন্দারা বলছেন, এই স্কিমিং ডিভাইসটি-ই সম্ভবত যুক্ত থাকছে ক্যামেরার সঙ্গে। আর সেই ক্যামেরা রাখা থাকছে এটিএম মেশিনের কিপ্যাডের উপরে। এরফলে কেউ ওই মেশিন থেকে টাকা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কার্ডের পিন ও তথ্য তৎক্ষণাৎ চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে। সেই তথ্য দিয়েই তৈরি হচ্ছে নকল কার্ড। আর সেই কার্ড ব্যবহার করেই পরক্ষণেই টাকা তুলে নিচ্ছে হ্যাকারদের দল। এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।


প্রসঙ্গত, এটিএম কাণ্ডের তদন্তভার ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানা থেকে হাতে নিয়েছে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ। এটিএম কাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই বিশেষ টিম গঠন করেছে  কলকাতা পুলিস।  ব্যাঙ্ক ফ্রড ও সাইবার শাখার অফিসারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে টিম। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও।  লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিসের একটি দল দিল্লি গিয়েছে। দিল্লি পুলিসের সাহায্য নিয়ে বেশ কয়েকটি এটিএম-এ হানা দিয়েছে তারা। একইসঙ্গে রোমানিয়ান গ্যাং-দের সম্ভাব্য ডেরাতেও হানা দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এটিএম জালিয়াতির পিছনে রোমানিয়ান গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, নতুন কোনও চক্রের হাত থাকার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।


আরও পড়ুন, ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ, বীরভূম জেলা সভাধিপতিকে 'সাসপেন্ড' অনুব্রত মণ্ডলের


এটিএম জালিয়াতি নিয়ে শনিবার থেকে একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে যাদবপুর থানায়। রবিবার মোট ১৪টি এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে। সোমবার অন্তত ১০  থানায় এসেছেন অভিযোগ জানাতে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, দিল্লির এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। যাদবপুর থানা ছাড়াও কড়েয়া থানা এলাকাতেও এটিএম জালিয়াতির খবর মেলে। জালিয়ারতির খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে বসে কলকাতা পুলিস। বাইক পেট্রোলিং মাধ্যমে শহরের এটিএম কাউন্টারগুলিতে নিয়মিত বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রত্যেক থানাকে নির্দেশ পাঠিয়েছে লালবাজার।