নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিচারিকা বা আয়াদের এবার 'সুপার স্প্রেডারে'র তালিকায় আনার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে আবেদন করতে চলেছে কলকাতা কর্পোরেশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি ফোন। ফোনটি এসেছিল 'টক টু কেএমসি' (Talk to KMC)-তে। খড়্গপুর থেকে আসা সেই ফোনে এক ব্যক্তি বলেন, তাঁর স্ত্রী বাড়িতে বাড়িতে আয়ার কাজ করেন। তাঁর স্ত্রীর মতো পেশায় যাঁরা যুক্ত তাঁদের টিকাকরণের জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে জানতে চান তিনি। 


আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, Dilip Ghosh-এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের


এই ফোনটি পাওয়ার পর থেকেই KMC-র ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা আয়ার কাজ করেন, তাঁরা তো একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমের মাধ্যমে টিকা পাবেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে যাঁরা বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে রোগীদের দেখাশোনা করেন তাঁরাও তো দেখতে গেলে 'সুপার স্প্রেডার'ই। তাঁদের মাধ্যমেও দ্রুত ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। ফলে তাঁদের টিকাকরণের জন্য সুসংগত ব্যবস্থা জরুরি। আর ব্যবস্থা জরুরি সেই সব মহিলাদের জন্যও যাঁরা বিভিন্ন বাড়িতে দু'বেলা পরিচারিকার কাজ করে বেড়ান। কাপড়কাচা-বাসনমাজা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করতে গিয়ে তাঁদেরও বহু মানুষের 'কনট্যাক্টে' আসতে হয়। ফলে তাঁদের থেকেও করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ফলে সমাজের এই শ্রেণির মহিলাদের যাতে 'সুপার স্প্রেডার' তালিকাভুক্ত করা যায় সেজন্য কলকাতা কর্পোরেশন এবার স্বাস্থ্য দফতরে এ নিয়ে আবেদন করতে চলেছে।  


সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, এটা ঘটলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের এই মহিলাদের টিকা পেতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনই করোনা নিয়ন্ত্রণেও একটা বড় পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হতে পারে তা।   


প্রসঙ্গত, এই 'টক টু কেএমসি' একটি ওয়ান-টু-ওয়ান ব্যবস্থা। যেখানে নাগরিকেরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরাসরি শহরের মেয়র বা  Chairman of Board of Administrators-এর সঙ্গে কথা বলে যে কোনও বিষয়ে তাঁদের মতামত-সুবিধা-অসুবিধা জানাতে পারেন।  


আরও পড়ুন: Live: প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন Mamata