নিজস্ব প্রতিবেদন: মিল্লি আল আমিন কলেজের অচলাবস্থা নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যপালের। অশালীন মন্তব্যের অভিযোগে নালিশও জানিয়ে এসেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেওয়া হল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে উত্তর কলকাতার রামমোহন কলেজে পাঠিয়ে দিল শিক্ষাদপ্তর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: জেলে বসে মোদী-মমতাকে চিঠি সুদীপ্তর, ৬ প্রভাবশালীর নাম ফাঁস


উল্লেখ্য, পড়ুয়ার পরীক্ষা দিতে পারছেন না, সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না অধ্যাপকরাও। গত কয়েক মাস ধরেই অচলাবস্থা চলছে মিল্লি আল আমিন কলেজে। কলেজের গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন পড়ুয়ারা। কলেজে এমন সংকটের সময়ে ইস্তফা দিয়েছেন অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে ধর্নায় বসা পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁদের পাশে থাকা আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষাকে সমূলে উৎপাটিত করার ডাক দেন তিনি।  শুক্রবার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে মন্ত্রী নালিশ জানান বৈশাখী। তিনি বলেন, 'আমার উপাধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই হয়তো এমন কথা বলার সাহস হল। খাতুন হলে বলতে পারতেন! তখন তো ভোটব্যাঙ্কের চিন্তা ঘুরত মাথায়। রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে তিনি যা বলেছেন তার জবাব জনগণ দেবেন। ওনার শুভবু্দ্ধি উদয় হোক। এই আশা রাখি।' বৈশাখী ও শোভনের অভিযোগ গুরত্ব সহকারে শোনেন রাজ্যপাল, ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি।


আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানায় শীতের নতুন অতিথি মিষ্টি এই জিরাফ শাবক


এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার পর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি চিঠি ধরাল শিক্ষাদপ্তর। এদিন তিনি বলেন, 'যেদিন থেকে আমি রাজরোষের শিকার সেদিন থেকেই জানি আমার উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে। শুক্রবার রাজভবনে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের আক্রমণের কথা জানানোর পরের দিনই তাই তড়িঘড়ি বদলি করা হল। রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে আমাকে শাস্তি দেওয়া হল।'  উল্লেখ্য, করোনা সতর্কতায় এখন রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শনিবার সাধারণত উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরাও অফিসে আসেন না।