নিজস্ব প্রতিবেদন : মায়ের মৃত্যুর পর তিন বছর ধরে রাসায়নিক দিয়ে ফ্রিজারে দেহ সংরক্ষণ। বেহালার জেমস লং সরণির ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্যে। রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ দে-র দিদি আর পোষ্য কুকুরের দেহের সঙ্গে একছাদের তলায় মাসের পর মাস কাটিয়েছিলেন। বেহালার জেমস লং সরণির ঘটনা তার থেকেও ভয়াবহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে, কেন এমন করেছিলেন শুভব্রত? কোনও সুস্থ মানুষ কি একাজ করতে পারেন? বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিত্সকরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, শুভব্রত একজন মনরোগী। তিনি স্কিতজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। এদিন ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রিতে ডাক্তারি পরীক্ষা হয় শুভব্রতর।


চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, শুভব্রত অডিটারি হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত। তিনি কানে অজানা শব্দ ও কথা শুনতে পান। এমনকি মনে মনে শুভব্রত জার্মান ও রুশ কনসুলেটের সঙ্গেও কথা বলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন চিকিত্সকরা।


আরও পড়ুন, ফ্রিজারে দেহ, 'মাকে বাঁচিয়েই হত যুগান্তকারী আবিষ্কার', বেহালায় ছেলের 'হাড়হিম' কীর্তি!


একইসঙ্গে তাঁরা আরও জানান, শুভব্রতকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিত্সার প্রয়োজন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। আদালত অনুমতি দেওয়ার পরই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে শুভব্রতকে। এরপরই ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান শুভব্রত। তাঁকে চিকিতসার জন্য পাভলভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'সন্তানদের জন্যই বাড়ি ফেরা উচিত', শোভনের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রত্না


তিন বছর ধরে বাড়ির ফ্রিজারে মায়ের দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন শুভব্রত। তদন্তকারী অফিসারদের চমকে দিয়ে জেরায় শুভব্রত দাবি করেছেন, "মাকে বাঁচিয়ে রাখতে যুগান্তকারী আবিষ্কার" করতে চেয়েছিলেন তিনি। দেহ সংরক্ষণের জন্য রীতিমত রুশ ভাষা আয়ত্ত করে ক্রায়ো প্রিজারভেশন পদ্ধতির খুঁটিনাটি রপ্ত করেছিলেন শুভব্রত।