নিজস্ব প্রতিবেদন: বেহালার আবাসনে মা ও ছেলে খুনের তদন্তে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না গোয়েন্দারা। তবে তাঁরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত, পরিচিত কেউ আসাতেই খুলে দেওয়া হয় বিল্ডিংয়ের মেন গেটের তালা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Gaighata: মোবাইল ফোনে মিলল স্ত্রীর পরকীয়ার হদিশ! কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠানো হল যুবকের দেহ 


তদন্তে নেমে এখনওপর্যন্ত ফ্ল্য়াটের চাবিরে গোছা হাতে পাননি গোয়েন্দারা। আবাসনের মেন গেটে সব সময় তালা দেওয়া থাকে। যার ফ্ল্য়াটে লোক আসে তিনি মেন গেটের তালা খুলে দেন। অর্থাত্ সেদিন বাড়ির কর্তা তপন মণ্ডলের বাড়িতে এসেছিল পরিচিত কেউ? ফলে তপনের স্ত্রী সুস্মিতা বা ছেলে তমোজিতই হয়তো গেটের তালা খুলে দিয়েছিল বা চাবির গোছা তাদের হাতে দিয়েছিল। এসব প্রশ্ন উঠে আসছে।


তদন্তকারীরা মনে করছেন এই জোড়া খুনের পেছনে একজন নয়, একাধিকজন জড়িত থাকতে পারে। মঙ্গলবার বেহালার ওই ফ্ল্যাটে তদন্তে আসেন কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখার ২ অফিসার। তিনতলার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ ও পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।


প্রাথমিক তদন্ত উঠেছে, খুন হয়েছে বিকেল ৩টে থেকে ৫টার মধ্যে। অর্থাত্ পরিচিত কেউ এলে তবেই মেন গেটের তালা খুলে উপরে যাওয়া সম্ভব। আবাসনটি যে পাড়ায় অবস্থিত সেটি সাধারণত দুপুরে শুনসান থাকে। কারও বাড়িতে কেউ এল তা লক্ষ্য নাও পড়তে পারে। আবাসনের উল্টো দিকে রয়েছে একটি দোকান। সেটা দুপুর বারোট পর্যন্ত খোলা থাকে। আবার বিকেলে খোলা হয়। ঘটনাচক্রে খুনের দিন দোকানটি সারাদিনই খোলা হয়নি। ফলে মনে করা হচ্ছে যে বা যারা খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে ওইসব তথ্য ছিল।


আরও পড়ুন-MSP Hike: কৃষকদের জন্য বড় খবর! রবি শস্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি কেন্দ্রের  


করোনা পরিস্থিতিতে সুস্মিতার মোবাইল ফোনটি পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করতে তার ছেলে তমোজিত্। মেন গেটের চাবির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে না সেই ফোনটিও। গতকাল বাড়ির কর্তা তপন মণ্ডলকে বেশ কিছুক্ষণ জেরা করা হয়। কিন্তু এখনওপর্যন্ত কোনও শক্তিশালী ক্লু গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি। তবে একটা বিষয়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে পরিচিত কেউ আসাতেই বিল্ডিংয়ের মেন গেট খুলে দিয়েছিলেন সুস্মিতা বা তাঁর ছেলে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)