নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন। এনিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিবকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'হ্যাঁ, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিচ্ছি', ঘোষণা করে দিলেন Babul   


শনিবার দুপুরে জেলাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব জানতে পারেন, ঝাড়খন্ড, দুর্গাপুর, আসানসোলে বেশি বৃষ্টি হওয়ার ফলে ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে বেশি জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে সংলগ্ন এলাকায়  সমস্যা হচ্ছে। ওইসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাঞ্চেত বাঁধে চাপ পড়ছে। ফলে পাঞ্চেত থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। 


রাজ্যের বেশিরভাগ নদীই ওভারলোডেড হয়ে আছে। সেই কারনে জেলাশাসকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আমতা, তারকেশ্বর, আরামবাগ, ঘাটাল ,উদয়নারায়ণপুর, খানাকুল ১ ও খানাকূল ২ নম্বর ব্লক ভেসে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।  কংসাবতী থেকেও জল ছাড়া হয়েছে ফলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।


মুখ্যসচিবের নির্দেশে ৪ টি NDRF ও  ৫ টি SDRF টিম নামানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা,হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান,হাওড়া ও হুগলিতে প্রায় ৩২ হাজার ক্যাম্পে দুর্গতদের রাখা হয়েছে। বেশিরভাগ নদীতেই বিপজ্জনক সীমার ওপরেই রয়েছে জলস্তর।


আরও পড়ুন-১০১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় জয়ী, প্রয়াত স্প্রিন্টার Man Kaur


নবান্ন সূত্রে খবর, আজ ৯ জেলার জেলা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করে ভারী বৃষ্টি এবং জল ছাড়া নিয়ে সতর্ক করলেন মুখ্য সচিব। সেইসঙ্গে কত পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তার উপর নজর রাখতে বললেন তিনি। রাজ্যকে না জানিয়ে কোনো জল ছাড়া যাবে না।


কোন এলাকা জলমগ্ন হলে সেখান থেকে উদ্ধার করা এবং ত্রাণকার্য চালানোর জন্য জেলাশাসকের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো ত্রাণ সামগ্রী তৈরি রাখতে সবাইকে বলেছেন। যেকোনো পরিস্থিতি দ্রুত গতিতে মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)