শুভেন্দুর ডাক, ``বাংলাকে Narendra Modi-র হাতে তুলে দিতে হবে``
বাংলার মানুষের আর্থিক অবস্থা শোধরাতে পারে কোন পথে, এদিন তার হদিশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক, যে কোনো মঞ্চ থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন যেমন বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, ২১ বছর তৃণমূল পার্টিটা করেছি বলে এখন লজ্জা করে। এই দলটা এখন একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। ৩৪ বছর বামেরা এই রাজ্যকে বিপথে চালিত করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসও সেই একই চটিতে পা গলিয়েছে। রাজ্যের কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্যবাসীর অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে।
বাংলার মানুষের আর্থিক অবস্থা শোধরাতে পারে কোন পথে, এদিন তার হদিশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, একমাত্র দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে বাংলাকে তুলে দিলেই এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। একসময়ের শিল্পতালুক পশ্চিমবঙ্গের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারেন একমাত্র নরেন্দ্র মোদী। এদিনের মঞ্চ থেকে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন বলেছেন, একমাত্র বিজেপিই পারবে ফর দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল, অফ দ্য পিপল ভাবধারাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। আমাদের সবার এখন একটাই উদ্দেশ্য। যেভাবেই হোক সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতে বাংলাকে তুলে দেওয়াই সবথেকে ভালো সিদ্ধান্ত হবে আমাদের।
আরও পড়ুন- আমি নিজেও ভয় পাই, অর্জুনকে (Arjun Singh) বলব আমাকে না মারতে : ফিরহাদ (Firhad Hakim)
শুভেন্দুকে এদিনও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন, একই পরিবারের এতজন এতগুলি পথ অধিকার করেছিলেন তখন লজ্জা করেনি! বিজেপি পার্টিতে গিয়ে কি সব কালিমা দূর হয়ে যায়! যদিও শুভেন্দু অধিকারী বারবারই তৃণমূলের সেসব সমালোচনা বাউন্ডারির বাইরে ফেলেছেন। একুশের নির্বাচনের আগে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করে তুলছে তাঁর গরমাগরম মন্তব্য। তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরই ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ির খেলায় মেতেছে যেন!