বঙ্গতনয়ার অসীম সাহসিকতায় লাদাখে বিপদ থেকে উদ্ধারের পথে ৪ বাঙালি পর্যটক
টানা ৭ দিন সেখানেই আটকে থাকেন। জল নেই, খাবার নেই। ধীরে ধীরে সঙ্গে থাকা টাকাও শেষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : লাদাখে ঘুরতে গিয়ে বিপদে পড়লেন ৪ বাঙালি পর্যটক। পুরু বরফে ঢাকা সার্চু এলাকায় আটকে পড়েন ৪ জন। শেষমেশ পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অবশেষে বাড়ির পথে তাঁরা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বাড়ির লোক।
পিসতুতো ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে লাদাখে ট্রেক করতে গিয়েছিলেন কলকাতার বাসিন্দা নেহা। ভালো নাম বিদিতা চট্টোপাধ্যায়। কলকাতায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত নেহা। কাজের একঘেয়েমি থেকে কয়েকদিন ছুটি নিয়ে বন্ধু- আত্মীয়ের সঙ্গে লাদাখে পাড়়ি জমিয়েছিলেন নেহা। কিন্তু দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি ঘুরতে গিয়ে কোন বিপদের মধ্যে পড়তে চলেছেন তিনি। কোন বিপদ তাঁদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে।
আরও পড়ুন, স্বস্তি! অবসরের আগেই আগাম তৈরি হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পেনশন ফাইল
লাদাখের সার্চু এলাকায় একটি ধাবায় আটকে পড়েন তাঁরা। টানা ৭ দিন সেখানেই আটকে থাকেন। জল নেই, খাবার নেই। ধীরে ধীরে সঙ্গে থাকা টাকাও শেষ। এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। নেহার মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেনি সেরাজ্যের প্রশাসন। শেষমেশ বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে সাহসে বুক বেঁধে উদ্যোগী হয় নেহা নিজেই।
আত্মীয়-বন্ধুর সঙ্গে নেহা
নেহার মা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে মিলিটারি বাইকে করে নীচে মিলিটারি ক্যাম্পে নেমে আসেন নেহা। ফোন করেন বাড়িতে। ঘটনার কথা জানান। মেয়ের ফোন পেতেই মনে বল পান নেহার মা। আর তারপরই গতি পায় নেহাদের উদ্ধারকাজ। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নেহার মা।
আরও পড়ুন, বৌদির সঙ্গে দেওরের সম্পর্ক, ফাঁস হতেই মর্মান্তিক পরিণতি
সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খবর পেতেই সেনাকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই রাজ্য সরকারের তরফে নেহাদের ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদিন সেনা হেলিকপ্টারে নেহাদের সার্চু থেকে কুলুতে নামিয়ে আনা হয়। আপাতত কুলুতেই আছেন নেহারা। পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সমস্তরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। খুব শিগগিরই ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে আসবে।