শ্রাবন্তী সাহা:  বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত  মুকুল রায়ের হয়ে আগাম জামিনের মামলা লড়তে পারেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মুকুল রায়ের হয়ে কেন বিকাশ ভট্টাচার্য লড়বেন, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জল্পনা। কেননা নারদা মামলা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়েছেন বিকাশবাবু। যদিও এর  মাঝের  পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। ঘাসফুল শিবির, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছেড়ে মোদী-শাহর পদ্ম শিবিরে যোগ দেন মুকুল রায়। বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়েও সুর চড়ায় সিপিএম। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে ভাবলে বিকাশ ভট্টাচার্যের এই মামলায় লড়া রাজনীতিবিদদের কাছে কিছুটা বিস্ময়েরই বটে।  প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বহুবার বিজেপি-সিপিএমের  যোগসাজশের কথা বলেছেন। এই ঘটনা কি তারই ইঙ্গিত দিল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রাজনীতিবিদরা। উল্লেখ্য, এর আগে একটি মামলা লক্ষ্মণ শেঠের হয়েও লড়়েছিলেন বিকাশবাবু।


আরও পড়ুন: বিধায়ক খুনে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মুকুল


সূত্রের খবর,  ২০১৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেস  ছাড়ার পর  মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মোট ২৫ টি মামলা করা হয়। এর মধ্য ১২ টি মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। আরও সাতটা মামলা করা হয় মুকুলের বিরুদ্ধে। মুকুল রায়ের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এভাবে মামলা করছে তৃণমূল।  এটা ষড়যন্ত্রের মামলা।


কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় মুকুল রায়-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সত্যজিতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যজিতের  স্ত্রী ও দেড় বছরের সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।  সেদিন নাম না করে মুকুল রায়কে খোঁচা দিয়ে অভিষেক বলেন, “ঘাড় ধরে প্রত্যেক অভিযুক্তকে জেলে ঢোকাব।  দিল্লির নেতাদের পাজামা ধরে রেখেও পার পাবেন না কেউ। প্রত্যেক অভিযুক্তকে শাস্তি পেতে হবে।”


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরদিনই,  মঙ্গলবার সকালে আগাম আর্জির আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার  শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে  বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ও বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে।