স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ জন্মদিন এমন একজন মানুষের, তাঁর মুখ না দেখে কণ্ঠস্বর শুনলেই গোটা বাঙালি জাতি রোমাঞ্চ অনুভব করত। তাঁকে মঞ্চে একবার দেখার জন্য দূর-দূর থেকে শত কাজ ফেলেও লোকে চলে আসত। তাঁকে বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখে বাঙালি নতুন করে স্বপ্ন দেখত। তিনি আর তাঁর স্ত্রী একসঙ্গে কোনও নাটকে অভিনয় করছেন মানে, সেটা না দেখলে জীবনের কী মানে হয়, এমনটাই মনে করত বাঙালি। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। আজ জন্মদিন কিংবদন্তি বাঙালি শম্ভু মিত্রের। চলে গিয়েছেন তো সেই বছর কুড়ি আগে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু আজও এ শহরের নাট্যমঞ্চের দিকে একবার তাকালে আপনার মনে পড়বেই তাঁর কথা। পথিকৃত যে। আজ এমন শিল্পীর জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে দু-চার কথা জানুন অথবা, আর একবার একটু স্মৃতিচারণ করে নিন। মনটা বেশ ভালো লাগবে।


১) শম্ভু মিত্রের জন্ম ১৯১৫ সালের ২২ আগস্ট। সাত ভাই বোনের মধ্যে শম্ভু মিত্র ছিলেন ষষ্ঠ।


২) শম্ভু মিত্রের বাবা শরত্ কুমার মিত্র জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন। কিন্তু মাত্র ১২ বছর বয়সেই শম্ভু মিত্র হারান তাঁর মাকে।


৩) শম্ভু মিত্র পড়াশোনা শুরু করেছিলেন চক্রবেড়িয়া মিডল ইংলিশ স্কুলে। সেখান থেকে তিনি চলে যান বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে। আর তাঁর কলেজ ছিল সেন্ট জেভিয়ার্স।


৪) ১৯৩৯ সালে শম্ভু মিত্র প্রথম থিয়েটারে যোগ দেন। শুরু করেন রঙ্গমহল থেকেই। এরপর আস্তে আস্তে মিনার্ভা, নাট্য নিকেতন, তারপর আরও কত কত মঞ্চ।


৫) ১৯৪৩ সালে শম্ভু মিত্র যোগদান করেন IPTA (Indian People's Theatre Association) এ।


৬) ১৯৪৮ সালে শম্ভু মিত্র নিজেই খোলেন নতুন নাট্যদল। নাম - বহুরূপী।


৭) শম্ভু মিত্র অভিনীত কিছু বিখ্যাত ছবি হল - ধরতি কে লাল (হিন্দি), অভিযাত্রী, ধাত্রী দেবতা, মাণিক, পান্না, নতুন পাতা, বউ ঠাকুরানীর হাট এবং পথিক।


আরও পড়ুন অলিম্পিকের জন্যই আজ চোখের কোণে জল চিকচিক