COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শীলপাড়ার বিট্টু দাসকে। বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পিঠে তিন-চার জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা। পুলিস নিশ্চিত মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়নি বিট্টুকে। 


পাড়াতেই নিখোঁজ ছাত্র। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন। বাড়ির কাছে উদ্ধার দেহ। একের পর এক এরকম সন্দেহজনক খবরে দানা বাঁধছে রহস্য। বিট্টুর হত্যা নিয়ে দানা বাঁধছে বেশ কিছু প্রশ্নও।


পৌনে নটায় হুমকি ফোন আসে বিট্টুর বাবার মোবাইলে, রাত এগারোটায় উদ্ধার হয় বিট্টুর নিথর দেহ, দেহে রিগর মর্টিস শুরু হয়ে গিয়েছিল। অর্থাত্‍ সাড়ে সাতটার আগেই খুন হয় বিট্টু। পাড়ার মধ্যেই বিট্টুর দেহ মেলে, কাছেই অনুষ্ঠানবাড়ি ছিল। জমজমাট এলাকায় কী করে খুন হয়? তাহলে কি আততায়ী কি এলাকার খুঁটিনাটি জানে? বিট্টুর নিম্নাঙ্গে কোনও পোশাক ছিল না। বিট্টুর পায়ে চটিও ছিল না। খুন করতে নগ্ন করা হল কেন? বিট্টুর বাবা পেশায় গাড়িচালক। তাঁর ছেলেকে কেন অপহরণ করা হবে?। কেন মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হবে? পুলিসের সন্দেহ, প্রতিহিংসার কারণে খুন করা হতে পারে বিট্টুকে।


বিট্টু যেখানে টিউশন পড়ে সেখানকার টিচার একমাস আগে ডেকে পাঠান তার বাবা-মাকে। জানান এক ছাত্রীর ফোন নম্বর ও বাড়ির ঠিকানা বন্ধুকে দিয়েছে বিট্টু। উঠে আসছে আরেক ছাত্রীর কথা। সহপাঠীরা জানাচ্ছেন,  কোচিং ক্লাসে বিট্টুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় এক ছাত্রীর। কয়েকদিন ধরে সেই ছাত্রীর পিছু নিচ্ছিল এক যুবক। বিট্টুকে এই পিছু নেওয়ার কথা জানায় ছাত্রী। বিট্টু হত্যার পিছনে ওই দুই ছাত্রীর কোনও লিঙ্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


বড়িশা বিবেকানন্দ স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র বিট্টু দাস। রবিবার বিকেলে পাড়ার পার্কেই খেলছিল সে। সন্ধে থেকে খোঁজ মিলছিল না তার। সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রথম ফোন আসে বিট্টু বাবার মোবাইলে। তিনি পেশায় গাড়ির চালক। ফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ২ ঘণ্টায় চারবার ফোন আসে।  ভয় পেয়ে পুলিসকে কিছু জানাননি নির্মলবাবু। পাড়ায় খোঁজ শুরু হয়। এরমধ্যেই বাড়ির থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে একটি তালাবন্ধ বাড়ির সিঁড়ির ওপর বিট্টুর দেহ। পরনে ছিল শুধু কালো রং-এর টি শার্ট। পায়ে ছিল দড়ির দাগ। ঠোঁটে ছিল রক্তের দাগ। থাইতে ও মলদ্বারে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।


ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিদেবপুর থানা। খুনের কারন নিয়ে তৈরি হয়েচে ধোঁয়াশা। এলাকার লোকজন খোঁজ করতেই কী খুন করা হল বিট্টুকে?  তাহলে কী নিখোঁজ হবার পর বাড়ির আসেপাশেই রাখা হয়েছিল বিট্টুকে? ঘনবসতির মধ্যে দেহ মিললেও কেউ কিছু টের পেল না।