BJP: বাংলার প্রতিনিধি উত্তরপ্রদেশের `অখ্যাত` নেতা, বিদ্রোহ যুব মোর্চায়
যুব মোর্চার কর্মসমিতিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের অনিমেষ বিশ্বাসকে (Animesh Biswas)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যুব মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ৪২ জন। তার মধ্যে এ রাজ্যের ভাগে একজন প্রতিনিধি অনিমেষ বিশ্বাস (Animesh Biswas)। তা-ও আবার তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা! এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের যুব মোর্চার কর্মীরা (Yuva Morcha)। সেই ক্ষোভকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বিঁধেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
যুব মোর্চার কর্মসমিতিতে (Yuva Morcha) পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে অনিমেষ বিশ্বাসকে (Animesh Biswas)। কিন্তু কে এই অনিমেষ তা ঠাওর করতেই হিমশিম খেয়েছেন রাজ্যের যুব মোর্চার কর্মীরা। পরে জানা যায়, তিনি বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের ব্যক্তিগত সহায়ক। বাঙালি হলেও বাস উত্তরপ্রদেশে। বাংলার কোটায় কোন যোগ্যতায় যুব মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতিতে স্থান পেলেন অনিমেষ? নেট মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন যুব মোর্চার কর্মীরা। একজন লিখেছেন,'বাংলার যুব সমাজ মরছে, মার খাচ্ছে আর বাংলার কোটায় জায়গা পাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের এক চোর।' কারও মন্তব্য,'দিল্লি থেকে আসা বিজেপির নেতারা বাঙালির শত্রু সেটা আবারও প্রমাণিত হল।'
যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সাফাই দিয়েছেন,'অনিমেষ কাজের ছেলে। ভোটের সময় কাজ করেছে। ওকে দেখে যুব সম্প্রদায় উৎসাহ পেয়েছে।' এই বিতর্কে ঢুকতে চাননি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর বক্তব্য,'এর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনুপ সাহাকে নেওয়া হয়েছিল। কাকে নেওয়া হবে, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করে।' তবে রাখঢাক না রেখেই রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি রাজকুমল পাঠক জানান,'যাঁর নাম বললেন তাঁকে চিনতে পারছি না। কীভাবে জায়গা পেয়েছেন জানি না। তিনি কাজের লোক ছিলেন কি ছিলেন না সেনিয়ে মন্তব্য করতে পারব না।'
একুশের ভোট প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগ করেছিল তৃণমূল (TMC)। ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলে নিশানাও করেন নেতারা। সেই বিতর্কই এ দিন ঘুরেফিরে এল। প্রশ্নের মুখে পড়লেন বঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব। বিতর্ক উস্কে বিজেপিকে বিঁধতে আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) টুইটারে লেখেন,'আপনাদের যুব মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতিতে নাকি বাংলা থেকে মাত্র ৩, যার মধ্যে ২ জন আসলে বাংলারই নন। বাংলাকে উপেক্ষা করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত ব্যক্তিকে বাংলার কোটায়! এ রাজ্যে যোগ্য কেউ নেই? হা হা। বিজেপি মহলেই কী সব ঘুরছে দেখলাম। সত্য কিনা আপনারাই বলুন।'
কুণালকে তৃণমূল নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়ে দিলীপের কটাক্ষ,'তাদের নেতারা কবে জেলে যাবেন সেটা উনি ভাবুন। আর আফগানিস্তানের বাঙালিদের বাঁচাতে ব্রাত্যকে নিয়ে উনি চলে যান।'
আরও পড়ুন- East Bengal: আসরে নামলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী, নবান্নে ডাক শ্রী সিমেন্ট-লাল হলুদ কর্তাদের