নিজস্ব প্রতিবেদন:  নিজামুদ্দিন থেকে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের ধরা হচ্ছে না। সারা দেশে লকডাউন মানা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে হাট চলছে। রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, গার্ডেনরিচ, একবালপুরে লকডাউন বোঝা যাচ্ছে না। শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্য যাবতীয় তথ্য গোপন করছে। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের তথ্যের অমিল রয়েছে। করোনার মৃত্যুকে ডায়াবেটিক কিংবা নিউমোনিয়ায় মৃত্যু বলে দেখানো হচ্ছে। এইসবই রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালের সেন্ট্রাল মনিটারিং কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেয় বিজেপি প্রতিনিধিদল। ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।


NRS-এর পর এবার আরজিকরেও সংক্রমণ, বন্ধ হতে পারে মেডিসিন ওয়ার্ড
এপ্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, রেশন নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। তৃণমূলের লোকেরা পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরাই বেশিরভাগ রেশন তুলে নিচ্ছেন, বাকিরা পাচ্ছেন না। এই বিষয়টি রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "মুখ্য়মন্ত্রী শুধু টাকা চাইছেন, কিন্তু সামগ্রী যা আসছে, তা আর পৌঁছচ্ছে না। টাকা নিয়ে চিন্তা ছেড়ে দিন। টাকা কেন্দ্র দেবে।"
বিজেপির আরও অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় তৃণমূলের কর্মীরা  ছাড়া বাকি কাউকেই জনপ্রতিনিধিত্বের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। মিডিলম্যানরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, কিন্তু সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না, রাজ্যপালের কাছে এই অভিযোগও করেন দিলীপ ঘোষ।
সবমিলিয়ে করোনা আবহে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আজ রাজ্যপালের কাছে একাধিক অভিযোগ জানাল বিজেপি প্রতিনিধি দল।