ঈশানদেব চট্টোপাধ্য়ায়: বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) মুখে বিজেপি-র (BJP) কাছে কদর বাড়ছে মতুয়াদের। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষপর্যন্ত বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) দাবি মেনে নিল দলের রাজ্য নেতৃত্ব। নয়া সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা পেল বনগাঁ (Bongaon)। সভাপতি হলেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত মানসপতি দেব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন শালিমারের তৃণমূল নেতা


উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ লোকসভা এলাকাটি মতুয়া (Motua) অধ্যুষিত। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র তিনটি আলাদা জেলা কমিটির অধীনে ছিল। সূত্রের খবর, আলাদা আলাদা জেলা কমিটির অধীনে থাকার কারণে সাতটি বিধানসভা এলাকায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বনগাঁর (Bongaon) বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)। দলের বারাসত জেলার সভাপতিকে অপসারণ অথবা বনগাঁকে সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দাবিটি মেনে নিল বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতত্ব। এমনকী, জানুয়ারিতে রাজ্য সফর চলাকালীন বনগাঁয় অমিত শাহের (Amit Shah) জনসভার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়ে গেল।


আরও পড়ুন: বহিরাগতদের আনাগোনা, দিনের পর দিন হোমে নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ


উল্লেখ্য, এ রাজ্যে CAA কি কার্যকর হবে? মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা কি আদৌ নাগরিকত্ব পাবেন? তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। এরইমধ্যে আবার বঙ্গসফরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনার টিকা আগে দেওয়া হোক তার পরে CAA, NRC নিয়ে কাজ হবে। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। ক্ষোভ এতটাই বেড়ে যায় যে, বিজেপি (BJP) ছেড়ে শান্তনু (Shantanu Thakur) তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়। সাংসদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য নেতারা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শান্তনু ঠাকুর স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন।