নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রশাসনকে পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল? নবান্ন স্থানীয় প্রশাসনের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়ার পর এবার রথযাত্রার রুট বদলে ফেলল বিজেপি (BJP)। যে পথে 'হামলা'র মুখে পড়েছিল জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়, সেই শিরাকোল দিয়েই রথ আসবে কলকাতায়। ডায়মন্ডহারবারে এদিন রথযাত্রা রুট ও প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসেন বিজেপির কলকাতা জোনের নেতারা। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের সময় এই রথযাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে জলঘোলা কম হয়নি। বিধানসভা ভোট যখন দোরগোড়ায়, তখন রাজ্যে ফের একই কর্মসূচি নিল বিজেপি। বাংলায় এবার ৫টি রথযাত্রা করার কথা ঘোষণা করেছে গেরুয়াশিবির (BJP)। ৬ ফ্রেরুয়ারি নবদ্বীপ থেকে প্রথম রথযাত্রাটির সূচনা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা কার্যত ঝুলিয়ে রেখেছে নবান্ন। পাল্টা চিঠিতে জানানো হয়েছে, যে যে এলাকায় রথযাত্রা হবে, সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সমস্ত আইন মেনেই কর্মসূচি পালন করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে এবার খাস কলকাতায় রথযাত্রার রুট বদলে দিল বিজেপি।


আরও পড়ুন: EXCLUSIVE : 'গেম চেঞ্জার হতে পারে মহাজোট,' অনুমতি চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি মান্নানের


সাগরের কপিলমুনি আশ্রম থেকে কোন পথে রথ ঢুকবে শহরে? তা চূড়ান্ত করতে এদিন ডায়মন্ডহারবারে বৈঠকে বসেন বিজেপি কলকাতা জোনের নেতারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সাগর থেকে রথযাত্রা শুরু হওয়ার পর কাকদ্বীপে হবে জনসভা। এরপর ডায়মন্ডহারবার-শিরাকোল হয়ে রথযাত্রা হবে কলকাতা পর্যন্ত। এর আগে কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে এই শিরাকোলে খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। রাজ্যে কর্মরত তিন আইপিএস (IPS) অফিসারকে ডেপুটেশনে পাঠানোকে কেন্দ্র নবান্নের সঙ্গে কেন্দ্রে সংঘাতে চরমে পৌঁছয়।


আরও পড়ুন: 'খুনিদের দল থেকে বের করে দিতে হবে', কলকাতায় BJP কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মীদের


রাজনৈতিক মহলের মতে, শিরাকোলে স্পর্শকাতর রুটে রথযাত্রার পরিকল্পনা করে কার্যত প্রশাসনকেই চাপে ফেলতে চাইছে বিজেপি। কারণ, রথযাত্রার অনুমতি না দিলে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, আবার অনুমতি দিলে অশান্তি সম্ভাবনাও এড়ানো যাবে না। যদিও বিষয়টিকে এভাবে দেখতে একেবারেই রাজি নন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। Zee ২৪-কে বললেন, 'ডায়মন্ডহারবার থেকে কলকাতা আসার পথে শিরাকোল পড়ে। চাই সেভাবেই রুট ঠিক করা হয়েছে। পশ্চিমনবঙ্গে তো কোনও উপদ্রুত অঞ্চল নেই। কোথাও রাজনৈতিক কার্যকলাপে বাধা নেই। কে আটকাবে, সেটা আমার দেখতে চাই।'