নিজস্ব প্রতিবেদন: নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে (Netaji Birth Anniversary) 'জয় শ্রীরাম'। বিতর্ক এত সহজে থামছে না! শাসক ও বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। মুখ্য়মন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে এবার সরকারি অনুষ্ঠানে ইসলামিক প্রার্থনার অভিযোগে ময়দানে নামল বিজেপি (BJP)। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রকাশ করল গেরুয়াশিবির। 'নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে 'জয় শ্রী রাম' যায় না, সেই বোধটাই নেই', পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিক্টোরিয়ায় (Victoria Memoral) নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে 'অপমানিত' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। তাঁর ভাষণের আগেই দর্শকাসন থেকে উঠল 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি উঠল। প্রতিবাদে বক্তব্য় না রেখেই পোডিয়াম ছাড়লেন মুখ্য়মন্ত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনভর তোলপাড় চলেছে রাজনৈতিক মহলে। একযোগে বিজেপির (BJP) সমালোচনা করেছে তৃণমূল (TMC), কংগ্রেস (Congress) ও বামেরা (Left)। 


আরও পড়ুন: 'শুভেন্দু অধিকারী কোন দলে ছিলেন?' পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে Abhishek-কে পাল্টা প্রশ্ন Samik-র


রবিবার বঙ্গ বিজেপির (BJP) টুইটার হ্য়ান্ডেল থেকে মুখ্য়মন্ত্রীর পুরনো একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও টুইট করা হয়। সঙ্গে বার্তা, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুষ্ঠানে ইসলামিক প্রার্থনা করতে পারেন, 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দিয়ে অভিবাদনে তাঁর আপত্তি কেন? তোষণ?' গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, 'নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) বাংলাকে অপমান করেছেন।'



Zee ২৪ ঘণ্টায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) পাল্টা প্রতিক্রিয়া, 'বিজেপি অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছে। বিষয়টি সামলাতে পারছে না। নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে 'জয় শ্রী রাম' যায় না, সে বোধটাই নেই। বাংলার বুকে যে অপসংস্কৃতি ঢোকাতে চাইছে, সেটাকেই আমার বহিরাগত বলছি। এটা যত জাস্টিফাই করতে যাবে, তত চোরাবালির মতো ডুববে।'


আরও পড়ুন: রাস্তায় বস্তাভর্তি পোড়া টাকা, চাঞ্চল্য কালীঘাটে


প্রসঙ্গত, এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলির সভা থেকে কুলতলির সভা থেকে 'জয় শ্রী রাম' বিতর্কে বিজেপিকে জবাব দেন যুব তৃণমূল সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বলেন, 'হাজারবার জয় শ্রীরাম বলুন, মানুষ সব বুঝে নেবে। সেদিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে উচিত শিক্ষা পেয়েছিলেন, এবার নেতাজিকে অপমানের যোগ্য জবাবও পাবেন।' বহরমপুরে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, 'ওঁর (অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়) এত কষ্ট কীসের! ভারতবর্ষে জয় শ্রীরাম বলা মানা নাকি? সব জায়গায় বলব। ওঁর বাড়ির সামনে গিয়ে বলে আসব। দম থাকলে আটকাক।'