কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের আশা করেও তার কাছাকাছি পৌঁছে পারেনি রাজ্য বিজেপি। দুশো আসনের কথা বলে সত্তরেই থামতে হয়েছিল বিজেপিকে। ফল বের হতেই দল ছেড়ে পালান বহু নেতা। তার পর থেকে বিভিন্নভাবে বঙ্গ বিজেপিকে মেরামত করার চেষ্টায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিবার কলকাতার আসিসিআর-এ এক সভায় দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নিশানায় বিক্ষুব্ধরা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, দল যে দায়িত্ব দেবে সেটাই মানতে হবে। দায়িত্ব বন্টন নিয়ে কোনও ক্ষোভ থাকলে তা প্রকাশ্যে একেবারেই যাবে না। বৈঠকে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা সুনীল বনসল ও মঙ্গল পান্ডে-সহ একাধিক নেতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'লজেন্স মাসি'-কে বিশেষ সম্মান জানাল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরুর! দেখুন আবেগি ভাইরাল ভিডিয়ো


সম্প্রতি বৈদিক ভিলেজের পর এবার আইসিসিআর-এ বসেছে বিজেপি দুদিনের বৈঠক। রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষেক মিলিয়ে বিজেপির মোট ৩ নেতা। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শীর্ষ নেতৃত্ব নয়, তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পদাধিকারী, বিধায়ক ও জেলা সভাধিপতিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা। রবিবার প্রথম পর্যায়ে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়। কারণ হল,সম্প্রতি দলের কিছু নেতা সংবাদমাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এতে শাসক দল সেইসব মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে নিশানা করছে।  এর বাড়বাড়ন্ত যাতে না হয় তার রুখতে পদক্ষেপ নিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব বন্টন নিয়ে যদি কারও কোনও ক্ষোভ থাকে তাহলে দলের মধ্যেই তা বলতে হবে। দল যে দায়িত্ব দেবে সেটাই পালন করতে হবে।


এদিকে, বর্তমানে ১৫ দিন বিজেপির সেবাপক্ষ চলছে। এর মধ্যেই পড়ে যাচ্ছে দুর্গাপুজো। এই পুজোর সময় জনসংযোগ হাতছাড়া করা চলবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাস্তায় নামতে হবে দলের নেতাদের। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি লোকসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গ্রামীণ এলাকায় কৃষক আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এদিন বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকছেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের মতো নেতারা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)