নিজস্ব প্রতিবেদন:  'পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। প্রশাসন বলে কিছু নেই। যে আছে, সেটা সম্পূর্ণভাবে দল।'  হেস্টিংস ঘটনায় এমনই কড়া প্রতিক্রিয়া মিলল বিজেপির (BJP) তরফে। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) দাবি, 'পুলিশ আগে থেকে সবটাই জানত। পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে তৃণমূল (TMC)। পার্টি অফিসের সামনে মাইক লাগানোর অনুমতি দিল কী করে!' ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দাবিকে 'হাস্যকর' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আমি নিজেও ভয় পাই, অর্জুনকে (Arjun Singh) বলব আমাকে না মারতে : ফিরহাদ (Firhad Hakim)


উল্লেখ্য, দলবদলের পর শনিবার হেস্টিংসে বিজেপির (BJP) দপ্তরে সংবর্ধনা নিতে আসেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল (Sunil Mandal)। কার্যালয়ে ঢোকার মুখে তাঁর গাড়িকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে এলাকায়। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি (BJP) ও  তৃণমূল (TMC) সমর্থকরা। গেরুয়াশিবিরের দাবি, হেস্টিংসে তাদের দলের কার্যালয়ে সামনে এদিন সকালে হঠাৎ করে পথসভার জন্য মঞ্চ বাঁধে তৃণমূল (TMC)। মঞ্চের জন্য কার্যত আটকে যায় পার্টি অফিসে ঢোকার রাস্তা! এমনকী, বিজেপি (BJP) পার্টি অফিসের সামনে মাইক বেঁধে তারস্বরে মা-মাটি-মানুষের গানও বাজানো হয় বলে অভিযোগ। দলের কার্যালয়ের সামনে পাল্টা জমায়েত করেন বিজেপি কর্মীরাও। বৈঠকের আগেই দু-পক্ষের বচসাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনা। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ডাক, ''বাংলাকে Narendra Modi-র হাতে তুলে দিতে হবে''


কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? হেস্টিংসে দলের অফিসে সামনে সাংসদের সুনীল মণ্ডলের গাড়ি আটকানো ও সংঘর্ষে ঘটনায় বিজেপির (BJP) দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর দাবি, "ওখানে কি হয়েছে বলতে পারব না। যেটা সুনীল মন্ডলের (Sunil Mandal) গাড়ির সামনে হয়েছে, সেটা ওদের তফশিলি কোনও সংস্থা করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।'  হামলা নয়, স্থানীয় ছেলেদের ক্ষোভের স্বতঃস্বূর্ত বহিঃপ্রকাশ, প্রতিক্রিয়া সৌগত রায়ের (Sougata Roy)। দু'জনের দাবিকেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিজেপি(BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। ফিরহাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, 'তৃণমূলের (TMC) নাম মঞ্চ হল! তাঁর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল, স্লোগান উঠল। আর বলছেন তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এইসব দাবি, অবস্থান হাস্যকর।'


উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের মুখে ভাঙন ধরেছে তৃণমূলে (TMC)। স্রেফ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একা নন, অন্যন্য দল থেকে গেরুয়াশিবিরে যোগ দিয়েছেন ৪৩ জন। সেই তালিকায় রয়েছে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলও (Sunil Mandal)। ওই ৪৩ জনকে এদিন হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে সংবর্ধনা জানানোর কর্মসূচি ছিল  বিজেপি (BJP)।