নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার পর সৌরভ ও লক্ষ্মীরতন একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করবেন। হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জল্পনা উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharyya)। বাংলার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের সঙ্গে কি যোগাযোগ রাখছে বিজেপি? স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharyya),'লক্ষ্মীরতন শুক্লা অলরাউন্ডার। বল ও ব্যাট করতে পারেন। তৃণমূলের পিচে সেট হতে পারছেন না। তৃণমূলের হয়ে ব্যাট করবেন, না বিরুদ্ধে বল করবেন, এটা ভবিষ্যত ঠিক করবে। আমি তো শুনছি, বিশ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার সৌরভ (Sourav Ganguly) ও লক্ষ্মীরতন (Laxmi Ratan Shukla) একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করবেন।' লক্ষ্মীরতন শুক্লার রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার নেপথ্যে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শমীক (Shamik Bhattacharyya)। তাঁর কথায়, লক্ষ্মীরতন সাদাসিধে মানুষ। কী এমন ঘটল যে রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠলেন। ভাল মানুষদের রাজনীতি করার আগ্রহ শেষ করে দিচ্ছে তৃণমূল।' বাংলায় বিজেপিই ক্ষমতায় আসছে বলে দাবি করে শমীক বলেন,'চারিদিকে বৈঠক চলছে। সবাই বিজেপিতে আসছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কাজ করতে চান। বাংলার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, ১৯৭৭ সালের পর কেন্দ্র ও রাজ্যে ফের একই দলের সরকার হবে।'


আরও পড়ুন- Sourav Health Live Updates: 'রেডি টু ফ্লাই' হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন মহারাজ


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) কি রাজ্যে বিজেপির (BJP) মুখ? গত কয়েক মাস ধরেই এনিয়ে ইতিউতি জল্পনা। সংবাদমাধ্যমে লেখাপত্তরও হয়েছে বিস্তর। দিন কয়েক আগেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌরভ। পরের দিন দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে একই মঞ্চে মহারাজ। তাতে তীব্রতা বেড়েছে জল্পনার। সৌরভ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তদ্বিরও নজর এড়ায়নি কারও। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে সৌরভের সঙ্গে লক্ষ্মীরতনের সম্পর্ক। সেই লক্ষ্মীরতন মন্ত্রিত্ব ও তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আপাতত রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন বলে এ দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন লক্ষ্মী। আর এই 'আপাতত' শব্দেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি অন্য ভাবনা রয়েছে তাঁর? শুধু তাই নয়, এ দিন 'আগামী মুখ্যমন্ত্রী কে?' প্রশ্নে লক্ষ্মীরতনের (Laxmi Ratan Shukla) ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য,'ময়দানে যে ভাল খেলে সে-ই জেতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। সবার জন্য আমার পরিবারের শুভেচ্ছা রইল।' তৃণমূল নেত্রীর নাম নিলেন না প্রাক্তন অলরাউন্ডার, এটা লক্ষণীয়। ফলে শমীকের মন্তব্য জল্পনায় আরও খানিকটা ধুয়ো যে দিল, তা বলাই বাহুল্য।    


আরও পড়ুন- দলীয় পতাকা নয়, জাতীয় পতাকা ও স্বামীজির ছবি নিয়ে এবার BJP-র মেগামিছিল