নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরভোটে কোথাও মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হবে না। পুরনির্বাচনে গঠিত কমিটির বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত হল। বিজেপি নেতৃত্বের অভিমত, বিজেপি আতঙ্কে ভুগছে তৃণমূল। সেটাই কাজে লাগাতে হবে আসন্ন পুরভোটে।     
    
বাংলায় পুরভোটের জন্য কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। ওই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মুকুল রায়কে। সহ-আহ্বায়ক হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং। এদিন মুকুল ও কৈলাসকে পুলিস আটক করায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে শুরু হয় বিজেপির বৈঠক। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবকটি পুরসভা আলাদা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তৈরি হবে। জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন প্রার্থীকেই টিকিট দেবে দল। সাংসদ, বিধায়করা তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়মিত তদারকির দায়িত্ব নিতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, রাজ্যের কোনও পুরসভাতেই আগে থেকে মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হবে না। এর পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সব পুরসভার নির্বাচন করানোর ঝুঁকি নেবেন? 


রাজ্যে তৃণমূল বিজেপি ফোবিয়ায় ভুগছে বলেও অভিমত বিজেপি নেতানেত্রীদের। সেটাই কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা। এরসঙ্গে সিএএ নিয়ে মিটিং-মিছিল নয়, বরং রাজনৈতিক প্রচারে বেশি জোর দিতে হবে।


বলে রাখি, আসন্ন পুরভোটের জন্য ৫৭ জনের কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। ওই কমিটির নেতৃত্ব থাকছে মুকুল রায়ের হাতে। তাঁকেই করা হয়েছে আহ্বায়ক। মুকুলের ডেপুটি হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাকে কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে নাম রয়েছে রাহুলঘনিষ্ঠ রীতেশ তিওয়ারির। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। শ্রীরামপুরের পুরভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রীতেশকে। কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও বাবুল সুপ্রিয়। এর পাশাপাশি আছেন রাজ্যের ১৮ জন সাংসদ। তৃণমূল থেকে আসা বিধায়করাও রয়েছেন কমিটিতে। 


আরও পড়ুন- যোগ্য লোক নেই, মুখ ছাড়াই কলকাতা পুরভোটে নামার সিদ্ধান্ত বিজেপি নেতৃত্বের