নিজস্ব প্রতিবেদন: মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য। এর জেরে বৃহস্পতিবার থেকে অশান্ত হাওড়ার একাধিক এলাকা। ভাঙচুর-বোমাবাজি-আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে ওই জেলায় শান্তি ফেরাতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) দ্বারস্থ রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। হাওড়ায় সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবি জানালেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, স্বপন দাশগুপ্তরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। তিনি যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেন তাও বলা হয়েছে। এরপর রাজ্য বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেন, "মুখ্যমন্ত্রী হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন। যারা অবরোধ করল, তাঁদের বিরুদ্ধে একটাও বাক্য বললেনি। উল্টে বিজেপি অফিসে গিয়ে এ কাণ্ড ঘটানোর কথা বলেছেন। এরপর আমরা দেখলাম, বিজেপির পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী হিংসায় উস্কে দিচ্ছেন।" তাঁদের পার্টি অফিসে ভারত মাতা, নেতাজি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম এবং আম্বেদকরের ছবিতে আঘাত করা হয়েছে বলে সুকান্ত মজুমদারের দাবি।


গণ্ডগোলের জেরে হাওড়ার পুলিস কমিশনার বদল করেছে স্বরাষ্ট্র দফতর। হাওড়ার নয়া পুলিস কমিশনার করা হয়েছে প্রবীণ ত্রিপাঠীকে। হাওড়া গ্রামীণ পুলিস জেলার নয়া সুপার হয়েছেন স্বাতী ভাঙালিয়া। এ নিয়েও রাজ্যকে খোঁচা দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার অফিসারদের সরিয়ে দিয়ে, গাফিলতি মেনে নিয়েছে। কেন পুলিসকে চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হল? সরকার বাধ্য হয়েছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। পশ্চিমবঙ্গ বিপদের মধ্যে রয়েছে।"



শনিবার হাওড়া যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিস। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানান, পুলিস  তাঁকে আটকাতে যেভাবে উদ্যোগী হয়েছে, শুক্রবার তা হলে পরিস্থিতি খারাপ হত না। আগামী দিনে ফের হাওড়া যাবেন বলেও জানান সুকান্তবাবু।



আরও পড়ুন: Calcutta High Court: নিরাপত্তার খরচ ১২ লক্ষ! মামলাকারীর কাছে ৫ লক্ষ 'ঘুষ' দাবি, ওসিকে তলব হাইকোর্টের


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)