নিজস্ব প্রতিবেদন : বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। সেকথা মাথায় রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব পক্ষ-ই। সংগঠনকে মজবুত করে নিচ্ছে সব দলই। এই পরিস্থিতিতে আজ একযোগে বিজেপি ও কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিল তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেসের বিধায়ক কাজি আবদুল রহিম যোগদান করলেন তৃণমূলে। কাজি আবদুল রহিম বাদুড়িয়ার বিধায়ক। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দান করে কাজি আবদুল রহিম বলেন, "বাংলাকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন‍্য কোনও বিকল্প নেই। আমার বাবা দীর্ঘদিন বিধায়ক ছিলেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে, বাংলাকে বাঁচাতে সব কিছু ভুলে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরতে হবেই। আপনারাও যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে চান, তাঁদের স্বাগত জানাই। আপনারাও আসুন।"


কাজি আবদুল রহিমের পাশাপাসি এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সহ সভাপতি মৌমিতা বসু চক্রবর্তীও। একইসঙ্গে আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিকের পুত্র শান্ত্বনু প্রামাণিকও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে বাংলাকে এক রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁকে আটকানোর জন‍্য চেষ্টা চলছে। আর তাই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেই সবাই তৃণমূলে যোগদান করছেন।"


আর বলেন, "দুশো আসনের গল্প করে বাংলায় মাটি পাওয়া যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার জন‍্য লড়াই করছেন। বাংলাকে যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে অবরোধ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।" পাশাপাশি অমিত শাহের বামেদের দলে আনার কথায় 'ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ল' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন একদল প্রাক্তন পুলিসকর্তাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন আইজিপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সরোজ গজমির, সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপঙ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ। 


আরও পড়ুন, অমানবিকতার চূড়ান্ত! টাকা দিতে না পারায় মরণাপন্ন রোগীর গাড়িতে কাঁটা লাগাল পুলিস