নিজস্ব প্রতিবেদন: লালবাজারে বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের ভিডিও আনতে হবে রাজ্যকে। মঙ্গলবার শুনানি শেষে রাজ্যকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি। এদিনই বিজেপিকে তাদের রথযাত্রার নতুন নির্ধারিত দিনগুলি জানাতে হবে আদালতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জনস্বার্থ মামলাটি বুধবার শুনবে বলে এদিনের শুরুতেই জানিয়ে দেয় আদালত। মঙ্গলবার শুধুমাত্র বিজেপির আবেদনই শোনেন বিচারপতি। এদিনের শুনানির শুরুতে বিজেপির আইনজীবী এস কে কাপুর বলেন, “এটা কোনও ধর্মীয় র‍্যালি নয়। আমরা রথযাত্রার দিন পরিবর্তন করে সময় কমিয়ে এনেছি। ” তিনি বলেন, “যাঁরা অনুমতি দিচ্ছেন না তাঁরা  আদালতের  ঠিক করা আধিকারিক।  রাজ্য না করেনি।”


আরও পড়ুন: রথযাত্রা নিয়ে আজ বিজেপির আবেদন শুনছে হাইকোর্ট, বুধবার জনস্বার্থ মামলা


 এসকে কাপুরের যুক্তি, “সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, রাজ্য কোন র‍্যালি বন্ধ করতে পারেনা। শুধু কিছু শর্ত আরোপ করতে পারে।” আদালতকে তিনি জানান,  “এটা রথ যাত্রা নয়,  মুকুল রায়  বৈঠক করে বলে এসেছিলেন এটা গণ তন্ত্র বাচাঁও যাত্রা।  প্রতি সপ্তাহে রাজ্যে কত র‍্যালিহয়, তাহলে সমস্যা কোথায়? মিটিং এ আলাদা করে কোন তারিখ বলা হয়নি।”আদালতের কাছে তিনি অভিযোগ করেন,  “ এখানে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই,  তাই এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে।  পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে  সেনা নামান।”


প্রসঙ্গত, সঙ্গত , গত শনিবারই  বিজেপির দফতরে ফ্যাক্স মারফত চিঠি পাঠিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, রথযাত্রা অনুমতি নেই তাদের। তবে বিজেপি চাইলে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সভার অনুমতি মিলতে পারে।


আরও পড়ুন: আপাতত ‘থামল’ রথ, পদযাত্রায় বিকল্প ভাবনা বঙ্গ বিজেপির


রাজ্য সরকারের মূল আপত্তি, বিজেপির 'গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা' কর্মসূচি ৪২দিনের। এতদিন ধরে কোনও কর্মসূচি চালানো সম্ভব নয়। রথযাত্রার নিরাপত্তায় ৫০০০ পুলিস কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে, তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে মেলার জন্য ওই জায়গা থেকে রথযাত্রার সূচনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। রয়েছে পৌষ মেলাও। এর মাঝে আবার ২৫ থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে থাকবে আনন্দের আবহ। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি হলে সামাজিক উত্সবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে মত রাজ্যের। সূত্রের খবর, জেলার পুলিস সুপাররা নবান্নকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ। সেই সব এলাকা দিয়ে রথযাত্রা হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তবে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের সভা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই।


এরপরই রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে বিজেপির আর্জি গৃহীত হয়।  মঙ্গলবার শুনানি শেষে বিচারপতি রাজ্যকে নির্দেশ দেন, লালবাজারে বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের ভিডিও বুধবার আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে।