নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভাকে 'মেগা ইভেন্ট'-এ পরিণত করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি । ১ লক্ষের জমায়েতের টার্গেট করেছে নেতৃত্ব। উদ্দেশ্য, বাংলার সিংহভাগ মানুষ যে সিএএ ও এনআরসি সমর্থন করে, তা দেখিয়ে দেওয়া। সে জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতিও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১ মার্চ শহিদ মিনারে সভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সভা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। তবে পুলিস অনুমতি দিয়েছে। তবে পরীক্ষা চলাকালীন নিয়ম মানতে হবে বিজেপিকে। নাড্ডা ও শাহ মঞ্চে থাকবেন, সে কারণে সংখ্যার শক্তি দেখাতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিজেপি নেতারা। টার্গেট, ১ লক্ষ লোকের সমাগম। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে থেকে আনা হবে লোক। ওই দিন শহরের তিনটি দিক থেকে মিছিল আসবে শহিদ মিনারে।          
   
বাংলার সংখ্যালঘুরাও যে সিএএ-কে সমর্থন করছেন, তাও দেখাতে চাইছে নেতৃত্ব। সে কারণে মুসলিম কর্মী-সমর্থকদের ফেজ টুপি পরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
 
তবে আয়োজনের মধ্যেও একটা সংশয় থেকে যাচ্ছে। দিল্লির হিংসার মাঝে অমিত শাহ কতখানি সময় দিতে পারবেন? বা আদৌ আসতে পারবেন কিনা? যদিও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মতে, এখনও হাতে সময় আছে। ফলে সমস্যা নেই। ততদিনে দিল্লির হিংসা বন্ধ হয়ে যাবে। 


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিটিং-মিছিল করেছেন। কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় সিএএ ও এনআরসি-র বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তার পাল্টা কলকাতায় নাগরকিত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে অভিনন্দনযাত্রা করেছে বিজেপি। অভিনন্দনযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এরপর জেলায় জেলায় সিএএ-র সমর্থনে সভা-সমাবেশ করেছে গেরুয়া শিবির। 


আরও পড়ুন- অসাধারণ প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন আপনারা, উনি দরকারে টাফ হতে পারেন: ট্রাম্প