অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাইকোর্ট রায় দেওয়ার পরও রথযাত্রার নির্ঘণ্ট নিয়ে গেরোয় ফেঁসেছিল বঙ্গ বিজেপি। হাইকোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় ২২, ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর রথযাত্রা শুরু করার কথা জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু আদালতের রায়ের একদিনের ব্যবধানে কীভাবে শনিবার কীভাবে রথযাত্রা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয়ে ছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু সংশয় আর থাকল না, হলফনামায় উল্লিখিত তারিখেই রথ বের করতে চলেছে বিজেপি। 


হাইকোর্টে 'গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা' কর্মসূচির জন্য হলফনামায় ২২, ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর উল্লেখ করেছিল বিজেপি। এদিন রথযাত্রা মামলায় রাজ্য সরকারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই রায় দিয়েছে আদালত। বাংলায় রথযাত্রার অনুমতি পেয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু বৃহস্পতিবার রায়ের পর শনিবার কীভাবে রথযাত্রা সম্ভব? তা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। দলের একাংশের মত ছিল, আদালতে গিয়ে নির্ঘণ্ট বদলে নিলেই হয়। কিন্তু সেই পথে হাঁটল না বিজেপি। তাতে আর এক চোট দেরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এমনিতেই বিলম্ব হয়ে গিয়েছে। আর তাই দিল্লি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে স্থির রয়েছে, আর কালক্ষেপ করা চলবে না। হলফনামায় নির্ধারিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী রথ বের হবে। 


বিজেপি সূত্রের খবর, ২২ ডিসেম্বর বীরভূমের তারাপীঠ থেকে বের হতে চলেছে প্রথম রথ। এরপর ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যথাক্রমে গঙ্গাসাগর ও কোচবিহারে রথের রশিতে টান পড়বে। তিনটি রথযাত্রার সূচনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের থাকার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটা কি সম্ভব? তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিজেপি নেতারা। তবে এটাও ঠিক, শুক্রবার গোটা কর্মসূচি নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি।


তবে রথযাত্রা নিয়ে বিতর্কের এখনই সম্ভবত নিষ্পত্তি হচ্ছে না। হাইকোর্ট অনুমতি দিলেও বিজেপির রথযাত্রায় স্থগিতাদেশ চেয়ে প্রধান বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্তের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য। শুক্রবার  রাজ্যের তরফ থেকে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দেয় আদালত। ১৫ ডিসেম্বর রাজ্যের দেওয়া নির্দেশ খারিজ করে আদালতের পর্যবেক্ষণ, গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে রথের অনুমতি নয়। কীসের ভিত্তিতে গোয়েন্দা রিপোর্ট, তার ব্যাখ্যা নেই। এদিন বিচারপতি বলেন, “ শুধুমাত্র কোচবিহারের ঘটনা দেখে রথযাত্রা বন্ধ করা যায় না''। 


শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় বিজেপিকে। প্রথম শর্ত, যেখানে রথ বেরোবে, তার ১২ ঘণ্টা আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত, এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। তৃতীয় শর্ত, কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় বিজেপিকে নিতে হবে এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী মোতায়েন করতে হবে প্রশাসনকে। 


আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগে দৌড়চ্ছিল ট্রেন-১৮, উড়ে এল পাথর, তারপর...