মৌমিতা চক্রবর্তী: আনুষ্ঠানিক নাম বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির। আর বৈদিক ভিলেজে দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবিরেই দেখা গেল কর্পোরেট স্টাইলে বিজেপির টিম বিল্ডিং প্রসেস আর ডিটক্স প্রোগ্রাম। ঠিক কেমন সেই টিম বিল্ডিং প্রসেস আর ডিটক্স প্রোগ্রাম? বেশ চমকপ্রদ। যেখানে থাকল যোগাসন থেকে, সাপ-বেজির খেলাও। দলের অন্দরমহলে কোন্দল মেটাতে রাজনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি অভিনব কৌশল। প্রথমদিন বিজেপির 'বৈদিক' প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রায় এক ঘণ্টা যোগা করানো হয়। সেইসঙ্গে সুইমিং পুলেও সাঁতার কাটেন অনেকে। পাশাপাশি চলে সাপ-বেজির খেলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীরকম এই সাপ-বেজির খেলা? সাপ-বেজির খেলা হচ্ছে মূলত, আমাকে ধর পিছন দিক দিয়ে! দেখিয়ে দেব কী করে কাৎ করতে হয়! জেলার এক নেতা তাই করলেন। আর দিলীপ ঘোষও তাক লাগিয়ে দিলেন। এক প্যাঁচে তাঁকে মাটিতে ফেলে দিলেন। অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে টাস্ক দেওয়া হয়, ফল চিনে লক্ষ্যভেদ করা। এইভাবেই সবাই কিছু না কিছু করে দেখান। তবে বেশ কিছু বিজেপি নেতা-কর্মী আবার সাঁতার, যোগা বা সাপ-বেজি খেলায় অংশগ্রহণ করেননি। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, তাঁদের বুকে-পায়ে ব্যথা আছে। মূলত দলের মধ্যে কোন্দল মেটাতেই এই যোগা থেকে সাপ-বেজির কৌশল। বিভেদ মিটিয়ে দলে ঐক্য আনতেই এধরনের নানারকম খেলাধুলোয় অংশ নিতে বলা হয় দলীয় নেতা-কর্মীদের।


বলাই বাহুল্যে দলের মধ্যে টিম স্পিরিট আনতে এই অভিনব কৌশল অনেকটাই কাজে আসায় খুব খুশি সুনীল বনসল। তিনি বলেন, দল বড় করতে গেলে অন্য দল থেকে আসা কাউকে নিয়ে ছুৎমার্গ করলে চলবে না। যে কোনও মূল্যে দল বড় করতে হবে। অন্য দল থেকে কেউ আসলে, তাঁকে সন্মান দিয়ে নিতে হবে। নিজেদের চুম্বকের মত করে তৈরি করুন । যাতে মানুষ আকৃষ্ট হবেন। নিজেদের মধ্যে কোনও বাগবিতণ্ডা বা ঝামেলায় জড়াবেন না। ঐক্য বজায় রাখুন‌। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৈলাসের ছেড়ে যাওয়া পথেই হাঁটলেন সুনীল বনসল।


আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে! বার্তা দিতে শুক্রবার ইডিতে হাজিরা দেবেন অভিষেক


প্রসঙ্গত, বিজেপির 'বৈদিক' শিবিরেও উঠে আসে এজেন্সি প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। ২৯ অগাস্ট টিএমসিপি-র সভায় সিবিআই-ইডিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে এই নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরই স্থির হয় যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর কোনও রাজনৈতিক জোর থাকে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটি স্বশাসিত সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তে কোনও রাজনৈতিক যোগ থাকে না। সেই নিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে। তৃণমূলের পাল্টা প্রচারে নামতে হবে। পথে নেমে প্রচার করতে হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)