নিজস্ব প্রতিবেদন:  'খুনিদের দল থেকে বের করে দিতে হবে'। কলকাতায় বিজেপি (BJP) কার্যালয়ের সামনে এবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গেরুয়াশিবিরের কর্মীরা। ৫ ঘণ্টা ধরে চলল বিক্ষোভ। ঘটনার জেরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর শেষপর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা। পাঁচদিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ফের প্রতিবাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়। বাঁকুড়ার রানিবাঁধে খুন হন স্থানীয় বিজেপি কর্মী অজিত মুর্ম। ঘটনার অভিযুক্ত ছিলেন জেলার তৎকালীন তৃণমূল যুব নেতা বিদ্যুৎ দাস। কিন্তু ভোটের মুখে দল বদলে ফেলেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতার হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে এসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিদ্যুৎ। খবর পেয়ে এদিন দলের কার্যালয়ের সামনে জমায়েত করেন নিহতের পরিবারের লোক ও বিজেপি কর্মীদের একাংশ। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। দাবি একটাই, 'খুনিদের দল থেকে বের করে দিতে হবে'। ঘটনার জেরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়, রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বও। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তাঁরা। আলোচনায় ৫ দিন সময় চাওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন বিজেপি কর্মীরা। তবে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ৫ দিনের মধ্যে যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে ফের প্রতিবাদ হবে।


আরও পড়ুন: 'বামেদের সময়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা হয়নি', পুরুলিয়ার সভায় ফের বামবন্দনা Suvenduর


প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের মুখে ভাঙন ধরেছে ঘাসফুল শিবিরে। দল ছেড়ে সকলেই যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই গেরুয়াশিবিরে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মন্ডল, শীলভদ্র দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বৈশালি ডালমিয়া-সহ শাসকদলের হেভিওয়েটরা। কিন্তু দলে আসতে চাইলেই কি দলত্যাগী তৃণমূল নেতাদের স্বাগত জানানো হবে? সূত্রের খবর, জানুয়ারিকে দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, জনমানসে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এমন নেতারাই  যোগদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। জেতার ক্ষমতার নিরিখে যাঁরা যোগ্য, তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে বিধানসভা ভোটে।