অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 রাজ্য বিজেপির সংগঠনের রাশ কি এবার নিজেদের হাতে নিতে চাইছে আরএসএস? সাংগঠনিক রদবদলে কি সঙ্ঘের মুখ প্রাধান্য পেতে চলেছে? বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও প্রদীপ যোশীর বৈঠক থেকে মিলছে তেমনই ইঙ্গিত। 


বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সাত নম্বর লোককল্যাণ মার্গে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকে ছিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শিবপ্রকাশ ও আরএসএসের পূর্ব ক্ষেত্রীয় (সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, আন্দামান) প্রচারক প্রদীপ যোশী। তবে বৈঠকে ছিলেন না বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি কেন গরহাজির, তা নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্য বিজেপির  অন্দরে। সিদ্ধার্থনাথ সিং যখন পশ্চিমবঙ্গে পুরো দায়িত্বে ছিলেন তখন প্রবেশ করেন কৈলাস। তাঁর উপরে ভরসা করতেন অমিত শাহ। কার্যত এবারের লোকসভা নির্বাচনের সাফল্যে কৈলাসের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমন পটভূমিতে কৈলাসের অনুপস্থিতি নিয়ে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে নানান প্রশ্ন।            



পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের সাফল্যের পর মোদী-শাহ জুটির আগামী টার্গেট ২০২১। আর সেই লক্ষ্যের কথা ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন বিজয় ভাষণেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তৃণমূল ভাঙানো থেকে পুরবোর্ড দখল- কোনও পন্থাই ছাড়ছে না বিজেপি। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সংগঠনেও বড়সড় রদবদলের জল্পনা সুস্পষ্ঠ। বৃহস্পতিবার মোদী-শাহ বৈঠকে প্রদীপ যোশীর বৈঠকের পর তা আরও দৃঢ় হয়েছে।  
         
বাংলায় বিজেপির সংগঠনে এতকাল তেমন নজর দেয়নি আরএসএস। কিন্তু এবার তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, সংগঠনের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে আরএসএস। সে কারণে রাজ্যের সংগঠনে আগামী দিনে দেখা যেতে পারে নতুন মুখকে। আর এখানেই থাকছে চমক। আরএসএস সূত্রে খবর, কয়েক বছর ধরে বাংলায় চষে বেড়াচ্ছেন প্রদীপ যোশী। বিজেপি ও আরএসএসের সংগঠনের হাঁড়ির খবরও তাঁর জানা। সাংগঠনিক রদবদলে তাঁর মতামত অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।   


আরও পড়ুন- বিধাননগরের মেয়রের পদ থেকে সব্যসাচী সরতেই ঠিকানা বদল সুজিতের?