নিজস্ব প্রতিবেদন:  বিজেপির (BJP) মিছিলে তৃণমূলের (TMC) পতাকা! রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির আঁচ এবার খাস কলকাতায়। মুকুল রায় (Mukul Roy), অর্জুন সিং (Arjun Singh), শুভেন্দু অধিকারীদের (Suvendu Adhikari) উপস্থিতিতে শিয়ালদহে সংঘর্ষে জড়ালেন ২ দলের সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করল পুলিস। এলাকার দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাকদ্বীপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা জোনের রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ডায়মন্ড হারবার-শিরাকোল হয়ে সেই রথ ঢুকে পড়েছে শহরে। এদিন উত্তর কলকাতায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy) , অর্জুন সিং (Arjun Singh), শুভেন্দু অধিকারীদের (Suvendu Adhikari) মতো বিজেপি প্রথমসারির নেতারা। মিছিলের সঙ্গে যাচ্ছিল তাঁদের 'ভিআইপি' কনভয়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, আমহার্স্ট্র স্ট্রিট (Amherst Street) ও এমজি রোডের (MG Road) সংযোগস্থলের কিছুটা আগে রাস্তার দু'ধারে আগে থেকে বাঁশ, লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সমর্থকরা। রথযাত্রা সেখানে পৌঁছাতেই হামলা চালানো হয়। পাল্টা তেড়ে যান বিজেপি সমর্থকরাও। এরপর ২ দলের সমর্থকের মধ্য়ে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এমনকী, বাদ যায়নি ইঁট ছোঁড়াছুঁড়িও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি আসরে নামে পুলিস। লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এলাকা দখল নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যায় বিজেপির রথ। তবে সংঘর্ষ ও পুলিসের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 


আরও পড়ুন: ভোটের আগে টিকা কিনে বাংলাবাসীকে দেওয়া হবে ফ্রি-তে, PM Modi-কে চিঠি Mamata-র


এই ঘটনার পর রাজ্য়ে অবিলম্বে ভোট ঘোষণার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, 'ওসি-আইসিরা ভালো থানায় পোস্টিং পাওয়ার জন্য শাসকদলের তাঁবেদারি করতে চাইছেন। ১০ হাজার লোকের সামনে ৩০-৩৫ জন লোক থাকতে পারে! নতুন পুলিস কমিশনারের বিষয়টি দেখা উচিত'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'নির্বাচন কমিশনকে বলব, তাড়াতাড়ি ভোট ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করুক। কলকাতায় তো কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। তাহলে এখানে কেন রুটমার্চ হবে না'?