নিজস্ব প্রতিবেদন: মর্মান্তিক! করোনা মুক্ত হওয়ার পরেও ঠাঁই মেলেনি বাড়িতে। বন্ধ দোকান ঘরে থাকতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল মহিলার! দোকানের শাটার ভেঙে উদ্ধার করা হল তাঁর দেহ। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে নিউটাউনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর এলাকার বাসিন্দা বছর পঁয়তিরিশের মনিকা মণ্ডল। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ভাড়াবাড়িতে। বাপের বাড়িও খুব দূরে নয়। ২৫ তারিখ আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন মনিকা। তেঘড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করার পর জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। তবে, চিকিৎসায় সেরে উঠেছিলেন ওই গৃহবধূ। রোগীকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে দেখভাল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।


আরও পড়ুন: করোনার উপসর্গ নিয়ে Medical College থেকে গায়েব রোগী


কেন? পাড়া-প্রতিবেশীরাই শুধু নন, এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় মেয়েকে নিজেদের কাছে রাখতে রাখতে মনিকার বাপের লোকেরাও আপত্তি করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, ভাড়া বাড়িতে থাকতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েন ওই গৃহবধূ ও  তাঁর স্বামী! শেষপর্যন্ত দীর্ঘ টালবাহানার একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের বন্ধ দোকান ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন এলাকার কয়েকজন। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল কই! বৃহস্পতিবার বন্ধ দোকান ঘর থেকে মনিকার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে এলাকায় সেফ হোম তৈরির দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।