ওয়েব ডেস্ক: ফেলে যাওয়া বাইকের সূত্র ধরে শহরের বুকে হদিশ মিলল বোমা তৈরির কারখানার। ওয়াটগঞ্জের মনসাতলা রোয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা দেশি বোমা, মোবাইল সার্কিট ও রিমোট। পুলিসের জালে ৪ ছিনতাইবাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়াটগঞ্জের ১০ নং মনসাতলা রোয়ের এই বাড়িতে চলছিল দেশি বোমা তৈরি। রবিবার গভীররাতে একতলার ঘর থেকে উদ্ধার হল তাজা দেশি বোমা, ৩০০ গ্রাম বোমা তৈরির মশলা, ১৫টি মোবাইলের সার্কিট ও রিমোট কন্ট্রোল।


বোমা কারখানার হদিশ মিলল ছিনতাইয়ের সূত্র ধরে। তারাতলা ৩নং গেটের সামনে ব্যবসায়ী বিকাশ সাহার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়। ৩টি বাইকে ৮-৯ জন দুষ্কৃতি তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে পালায়। পালানোর সময় একটি বাইক ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা। ফেলে যাওয়া সেই বাইকের সূত্র ধরে একবালপুরে পৌছে যায় পুলিস। ঠিক সেসময়ই খুরশিদ আলম ওরফে রাজ নামে এক যুবক একবালপুর থানায় বাইক চুরির অভিযোগ জানাতে যায়। তার দেওয়া বাইকের নম্বরের সঙ্গে তারাতলায় দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বর মিলে যেতেই জেরা শুরু করে পুলিস। উঠে আসে শামিম খান, মহম্মদ হালিম, মহঃ আজগর নামে এলাকারই ৩ দুষ্কৃতীর নাম। হদিশ মেলে মনসাতলা রোয়ের গোপন ডেরার। গ্রেফতার হয় সামির হোসেন ওরফে সোনু।


মনসাতলা রোয়ের বাড়িতে তল্লাসি চালাতেই উদ্ধার হয় বোমা। মোবাইল সার্কিট উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিকভাবে পুলিসের সন্দেহ হয় বাড়িতে IED তৈরি হত। যদিও, তদন্তের পর সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে পুলিস। ডাকাতির অন্যতম পাণ্ডা সোনুর ভাই বাল্লু পলাতক। হদিশ মেলেনি ছিনতাই হওয়া টাকারও।