নিজস্ব প্রতিবেদন: একরাতের মধ্যেই মাথার ওপর ছাদ হারিয়েছেন বৌবাজারের ৩০০ জন বাসিন্দা। বিপর্যয়ের কারণে কার্যত এক কাপড়েই সব ফেলে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে তাঁদের। ঘর ছেড়ে এখন তাঁদের ঠাঁই হয়েছে হোটেলে, তবে মন পড়ে বসত বাড়িতেই। তালিকায় রয়েছেন শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এমনকী রোগীও। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে হোটেলের ব্যবস্থা করেছেন ঠিকই তবে তাতেও চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, থাকার জায়গা দিলেও খাবার ব্যবস্থা করা হয়নি। কতদিন থাকতে হবে তাও জানানো হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেট্রোর কাজের জন্য আগে থেকে কোনও আগাম সতর্কবার্তা ছিল না। শনিবার সন্ধেবেলা হঠাৎই তৈরি হয়েছে বড়বড় ফাটল। ভেঙে পড়তে শুরু করে বাড়ি। রবিবার সকালে বের করে আনা হয় তাঁদের। বাসিন্দারা বলছেন, "কোথায় যাব, কী করব তাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি।" তাঁদের আরও অভিযোগ, সকাল থেকে মেট্রোর আধিকারিকদের ফোন করা হলেও কেউ যোগাযোগ করেননি ওই বাসিন্দাদের সঙ্গে।


অনেকেই জানাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধটুকুও নিয়ে বেরতে পারেননি তাঁরা, রেখে এসেছেন সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সঙ্গে নেই জামাকাপড়ও। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় রয়েছেন বাসিন্দারা। দিশাহারা সকলেই। ইতিমধ্যেই আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। 


আরও পড়ুন: বৌবাজারের বিপর্যয়ের দায় মানল মেট্রো, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পুনঃনির্মাণের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের


জানা গিয়েছে, বৌবাজারের বিপর্যয়ে অনেকেই হারিয়েছেন একমাত্র রুজিরুটির সংস্থানও। এখন বাসিন্দাদের প্রশ্ন, সাময়িক হোটেলের থাকার ব্যবস্থা করা হলেও এরপর কী করবেন তাঁরা, কোথায় যাবে অসহায় পরিবারগুলোয সবটাই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। শনিবারের পর কার্যত প্রমাদ গুনছেন সকলেই। থেকে থেকে উঠেছে কান্নার রোলও। সবমিলিয়ে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতায় কার্যত থরহরিকম্প বৌবাজারে ২০টিরও বেশি পরিবার। চোখের সামনে ভাসছে শুধু বাড়িঘর ভেঙে পড়ার ভয়াবহ দৃশ্য।