নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা আক্রান্ত এবার বউবাজার থানার ওসি। এই নিয়ে কলকাতা পুলিসের মোট ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন বছর আটচল্লিশের পুলিস অফিসার। এরপর রাতে শরীর আরও খারাপ বোধ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তারপর গতকাল রাতেই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয় নমুনা। আজ সকালে রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, রিপোর্ট পজেটিভ। কোভিডে আক্রান্ত ওসি।


তাঁকে নিয়ে কলকাতা পুলিসের মোট ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে যাঁরা যুদ্ধ করছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুলিস প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় যাতে বাহিনীর মনোবল ভেঙে না যায়, তার দিকে কড়া নজর দিচ্ছে লালবাজার। পাশাপাশি পুলিস কর্মীদের সুরক্ষা নিয়েও তৎপর লালবাজার। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন করা হয়েছে সবাইকে।


এদিকে ওসির রিপোর্ট পজেটিভ মিলতেই এদিন স্য়ানিটাইজ করা হয়েছে থানা, আশপাশের এলাকা ও ব্যারাক। পাশাপাশি, থানায় যেসব পুলিসকর্মীরা ওই অফিসারের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সেই নমুনা। তাঁদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।


প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণের জেরে মঙ্গলবারই জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লালবাজার। করোনায় আক্রান্ত হন জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট। তারপরই ওই ট্রাফিক গার্ডের আরও কয়েকজনেরও জ্বর দেখা দেয়। এরপরই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লালবাজার। জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ড-ই রাজ্যে প্রথম কোনও পুলিস অফিস, যাকে কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন, প্রশাসক ফিরহাদ, কলকাতা পুরসভার ১৪ সদস্যের বোর্ড ঘোষণা করল সরকার