নিজস্ব প্রতিবেদন: বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে তরজা জারি বিধানসভায়। মঙ্গলবারই  পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় তৃণমূলের প্রস্তাব পাশ হয়। এদিকে, কোচবিহারের দিনহাটার নবনির্বাচিত বিধায়ক উদয়ন গুহ দাবি করেন, ‘সীমান্তে মহিলাদের গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে তল্লাশি করে বিএসএফ।’ এই বক্তব্য নিয়েই এবার পাল্টা বিবৃতি দিল বিএসএফ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিএসএফের স্পেশাল ডিজি, ইস্টার্ন কমান্ড, ওয়াইবি খুরানিয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘পেশাদার বাহিনী হিসাবে যাবতীয় নিয়ম মেনে কাজ করে বিএসএফ।’ তিনি এও বলেন, "রাজ্য পুলিশের সমন্বয় করেই কাজ করি। আমরা আইনশৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছি না। উদয়ন গুহের অভিযোগ দুঃখজনক। আমাদের প্রায় ৪ হাজার মহিলা কর্মী রয়েছে। সিসিটিভিও রয়েছে। কোনো অভিযোগ থাকলে তারা আমাদের কাছে আসতে পারে বা স্থানীয় পুলিশের কাছেও যেতে পারে।"


আরও পড়ুন, পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়ে প্রশ্নের মুখে TMC, নিয়ম মেনেই নিয়োগ জানালেন চন্দ্রিমা


বিধানসভার অন্দরে উদয়ন গুহর মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। কী ভাবে তিনি নিজের দেশের বাহিনী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ওই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি জারি করে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএসএফ।


বিএসএফ এর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘পেশাদার বাহিনী হিসাবে বিএসএফ সব সময় নিয়ম মেনে কাজ করে। মহিলাদের তল্লাশির সময় মহিলা জওয়ানদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। ফলে মহিলাদের অশ্লীলভাবে তল্লাশির যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’প্রসঙ্গত, কোচবিহারে BSF-এর গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে, তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। আর সেই আঁচই নতুন করে ইন্ধন জোগায়। BSF-এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কে। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি ৫০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত BSF-এর তল্লাশি এবং গ্রেফতারের অধিকার থাকবে। 


এদিকে, দিনহাটার তৃণমূল বিধায়কের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'বিধানসভার বিএসএফ-র বিরুদ্ধে অশালীন ও নিম্নরুচির শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা পয়েন্ট অফ অর্ডার তুলিনি। দেখছিলাম, অধ্যক্ষ এই কথাগুলি কার্যবিবরণী থেক বাদ দেননি কিনা। ভারতীয় হিসেবে অস্বস্তি হচ্ছিল।  একসময়ে মনে হচ্ছিল, আমরা পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের কোনও প্রদেশের অ্য়াসেম্বলি বা পার্লামেন্টে বসে আছি'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)