নিজস্ব প্রতিবেদন:  মালদহ ও মুর্শিদাবাদে বন্যাত্রাণে বিপুল টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। ক্যাগ-কে গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই তদন্তে রাজ্যকে সবরকম সাহায্য করতে হবে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্য়ে তদন্ত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বছর আমপানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দুই ২৪ পরগনা জেলা একেবারে বিধ্বস্তের চেহারা নেয়। সেই বিপর্যয়ের ত্রাণে টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। সেই টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। বিরোধী দলের দাবি ছিল, রঙ দেখে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। যাদের দেওয়া হয়েছে তাদের ত্রাণ পাওয়ার কথাই নয়। দুর্নীতির কথা খানিকটা হলেও স্বীকারও করে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার আরও পুরনো একটি বিপর্যয়ের ত্রাণ নিয়ে চাপ বাড়ল রাজ্যের উপরে।


আরও পড়ুন-Delhi Pollution: 'বাজে অজুহাত দেবেন না,' দূষণ নিয়ে দিল্লি সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের


২০১৭ সালের বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। ওই বন্যার পর কেন্দ্র থেকে এসেছিল ক্ষতিপূরণের টাকা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৭০ হাজার টাকা। মামলাকারীর অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা পাননি। এর বদলে যারা টাকা পেয়েছেন তারা শুধু একবার নয়, একাধিকবার টাকা ঢুকেছে তাদের অ্যাকাউন্টে।


এনিয়ে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে আরও তদন্তে চেয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের চাপে স্থানীয় প্রশাসন জানায়, দুর্নীতি নয় বিভিন্ন সমস্য়ার কারণে একই ব্যক্তি একাধিকবার ত্রাণের টাকা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছিল। অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। সেই কথায় কান দেয়নি আদালত। 


মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকার ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবে। তদন্তের উপরে নজর রাখবে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে সব ধরনের সাহায্য করতে হবে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যকে বলতে হবে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, কেন্দ্র থেকে কতটা ক্ষতিপূরণ পাওয়া গিয়েছে আর কত টাকা খরচ হয়েছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)