নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) বিজেপির (BJP) করা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে বিজেপির করা আবেদন খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগেই এই আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্জ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল বিজেপি (BJP)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদালতের তরফে জানান হয়েছে, এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি নেই। কমিশন দায়িত্বশীল হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবে। রাজ্য প্রশাসন যথাযথ ভাবে কমিশনকে সাহায্য করবে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের উপরই দায়ভার বর্তাবে। এছাড়া নির্বাচনের পর কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। ২৩ ডিসেম্বর হবে পরবর্তী শুনানি। 


কলকাতায় পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের দাবি তোলে বিজেপি (BJP)। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য কোর্টে পেশ করেছে, তাতে আদালত মনে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে বিজেপি (BJP)। এদিন মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।


শুনানিতে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, "সাম্প্রতিক অশান্তি প্রেক্ষিতে ভোটারদের মনোবল বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? এলাকায় কি রুটমার্চ হচ্ছে? যেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি, সেখানে পুলিস কম কেন?" সূত্রের খবর, কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর মেলেনি। এরপর আসরে নামে রাজ্য সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেলের সওয়াল, 'অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে মানে এই নয় যে, রাজ্য পুলিসকে দিয়ে ভোট করানো যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীই লাগবে'।


হাইকোর্টে শুনানির শেষ পর্বে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা জানতে চান, "পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। তাহলে কি কমিশন রাজি?" কমিশনের তরফে জানানো হয়, "রাজ্য পুলিস নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই।" কিন্তু কমিশনে চাইলে কেন্দ্র কি বাহিনী দিতে পারবে? শুনানিতে সেই প্রশ্নও ওঠে। কেন্দ্রের আইনজীবী আদালতে জানান, "আমরা একটা নম্বর দিয়ে দেব। প্রয়োজন হলে বাহিনী নিতে পারে। কমিশন চাইলে, আমরা কাল সকালের মধ্যে বাহিনী পাঠিয়ে দেব। কমিশন যেভাবে বলবে, আমরা সেভাবে কাজ করব। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করব না।"


আরও পড়ুন: KMC Election: 'অবাধ ও শান্তিপূর্ণ' ভোটের বার্তা; কোনওরকম গা-জোয়ারি চলবে না: Abhishek


আরও পড়ুন: WB Primary Education: মমতা সরকারের মুকুটে নয়া পালক, দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রথম বঙ্গ


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App