নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে। শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে রোগী ভর্তি। সোমবার থেকে সিপিইউ ও ভেন্টিলেশনেও রোগী ভর্তি শুরু হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে গোটা হাসপাতালে ৩০০০ বেডের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। দেশের মধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজই প্রথম, যেখানে একটা গোটা হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হল। কিন্তু এখানেই উঠছে আরেকটি প্রশ্ন। মেডিক্যাল কলেজে যাঁরা ভর্তি ছিলেন বা আছেন তাঁদের কী হবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভর্তি প্রত্যেক রোগীকেই ধাপে ধাপে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। কলকাতার অন্যান্য হাসপাতালে অনেককে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আরও হবে। তবে এদিন সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পা দিয়ে চোখে পড়ল রোগীদের হয়রানির ছবি। ৮ মাসের শিশু ক্যানসার আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিক্যালে তাকে নিয়ে এসেছিল বাবা, মা। এসে দেখেন মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ। কী করবেন, কোথায় যাবেন, আতান্তরে পড়ে ওই শিশুর পরিবার।


ওই শিশুর পরিবার একা নয়। ক্যান্সার আক্রান্ত অশীতিপর বৃদ্ধ। সাতসকাল থেকে বসে আছেন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অভিযোগ, রিপোর্ট হাতে পাননি। তাঁকে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নৈহাটি থেকে আসা আরেক ক্যান্সার আক্রান্ত যুবক। চিকিৎসার জন্য নিয়মিত মেডিক্যাল কলেজে আসেন। মঙ্গলবারও এসেছিলেন। কিন্তু এদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। সারাদিন বসে থেকেও পাননি টিকিট। 


একদিকে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা যেমন হয়রানির শিকার হয়েছেন, তেমনই গাইনোলজিক্যাল ওয়ার্ডের ছবিটাও প্রায় এক। অনেকেই এই মুহূর্তে অস্ত্রোপচারের পর ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি ছিলেন গাইনো ওয়ার্ডে। তাঁদের বলা হয়েছে, অন্য কোথাও চলে যান। এদিকে যাবেন কীসে? মিলছে না গাড়ি। অন্য হাসপাতালে ভর্তির সুযোগও মিলছে না। সব মিলিয়ে বেশ কিছুটা নাজেহাল অবস্থা এই সব রোগী ও তাঁদের পরিবারের। 


আরও পড়ুন, রাজ্যজুড়ে লকডাউন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল সময়সীমা, বিদ্যুতের বিল দেওয়া যাবে অনলাইনেও