নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা পুরসভার প্রতিটি বরোতেই এবার থাকবে কার্ডিওলজি এবং ডায়াবেটিক  স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আজ, শনিবার পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে দুটি মৌ সাক্ষর করে কলকাতা পুরসভা। শনিবার একটি বৈঠকে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতিন ঘোষ জানান, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে এতদিন যে ধরণের চিকিত্সা হত, সেই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতেই এই অভিনব উদ্যোগ। এদিন তিনি বলেন, "কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল অফিসারদের আধুনিক প্রশিক্ষণ জরুরি।" ইতিমধ্যেই গত বছর থাইরয়েড চিকিত্সার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে পুরসভার মেডিক্যাল অফিসারদের। আর এ বছর চিকিত্সার মান বাড়াতে ফের উদ্যোগী রাজ্যসরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশের 'কার্পেট' কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! নিহত মালদার ৯ শ্রমিক


কিছুদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে হার্ট এবং ডায়াবেটিক সম্পর্কিত বিভিন্ন  প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে পুরসভার অফিসারদের। শনিবার, স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মাধ্যমে চিকিত্সা ব্যবস্থা আরও উন্নতির দিকে এগোবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে এই ধরনের পরিষেবা শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ। হার্ট ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত যেকোনও কঠিন সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন রোগীরা। এতদিন পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোনও রোগী গেলে তাঁর প্রাথমিক চিকিতসা করে কয়েকটি ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত, তবে এই নয়া উদ্যোগে সমস্ত ক্রিটিক্যাল কেয়ার যেমন হার্টের চিকিতসা, ইনসুলিনের মতো সমস্ত পরিষেবাই মিলবে।


আরও পড়ুন, বজবজ পৌরসভার কাউন্সিলরকে গুলিকাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত ২


মোট ১৬টি বরোর অধীনে প্রতি বৃহস্পতিবার বসবে স্বাস্থ্য়শিবির। পুরসভার মেডিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি শহরের নামী চিকিৎসকেরাও সময় বিশেষে থাকবেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেই শিবিরে। হার্টের অত্যাআধুনিক চিকিৎসা থেকে সুগারের ইনসুলিন, সেখানে সবই মিলবে বিনামূল্যে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১৬টি বরোর আর্বান প্রাইমারী হেলথ সেন্টারে শুরু হচ্ছে পরিষেবা। শনিবার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে দুটি মউ সাক্ষর করে কলকাতা মিউনিসিপ্যালটি কর্পোরেশন(KMC)।  যার মধ্যে একটি হল সার্টিফিকেট কোর্স ইন কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ অ্যান্ড স্ট্রোক এবং অন্যটি সার্টিফিকেট কোর্সে ইন হেল্থ কেয়ার কোয়ালিটি। পুরসভার মেডিকেল অফিসারদের আধুনিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত করতে, এবং পুরনো চিকিত্সা পদ্ধতিকে ঢেলে সাজিয়ে তার মান বাড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।