উত্তরপ্রদেশের 'কার্পেট' কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! নিহত মালদার ৯ শ্রমিক
কার্পেট কারখানার আড়ালে বেআইনিভাবে চলত বাজি তৈরি?
নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশের কার্পেট কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে ৯ জন শ্রমিক-ই মালদার এনায়েতপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধ্বংস্তূপের নীচে আরও মৃতদেহ আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির রোটাহা গ্রামে কার্পেট কারখানাটি অবস্থিত। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ তীব্র বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। দেখা যায়, বিস্ফোরণের ফলে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কারখানাটি। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এনডিআরএফ-ও। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন, বেঙ্গালুরুতে এরো ইন্ডিয়া শো চলাকালীন বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই কমপক্ষে ১০০ গাড়ি
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৯ জনই মালদার এনায়েতপুরের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্ফোরণের খবর জানানো হয় মালদা প্রশাসনকে। প্রশাসনের তরফে নিহত শ্রমিকদের পরিবারবর্গকে ঘটনার কথা জানানো হয়। বিস্ফোরণে জেলার শ্রমিকদের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মালদার জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল। বিস্ফোরণে নিহত শ্রমিকদের নাম- আতাউর মোমিন, আবদুল গফ্ফর, মহম্মদ সুভান আনসারি, ইসরাফিল মোমিন, আবদুল কালাম মোমিন, আলমগির মোমিন, আজাদ মোমিন, আবদুল কাদির, মোসাওয়ার।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, বিস্ফোরণের জেরে রাজ্যের শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই দলীয় নেতৃত্বকে মালদা যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে মালদা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী। টুইটারে বিস্ফোরণে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও জানিয়েছেন, নিহত শ্রমিকদের দেহ আনতে রাজ্য পুলিসের একটি দল উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছে। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে মালদা যাচ্ছেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও।
আরও পড়ুন, অসমে বিষমদকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৮০, হাসপাতালে ভর্তি ২০০ জন
এদিকে রোটারা গ্রামের স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্পেট কারখানার ভিতর প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি মজুত ছিল। আর তারপরই প্রশ্ন উঠছে, কারখানার ভিতর বাজি কি শুধু মজুত-ই ছিল? নাকি কার্পেট কারখানার আড়ালে বেআইনিভাবে চলত বাজি তৈরি? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রসঙ্গত, রোজগারের আশায় রাজ্যের বহু শ্রমিক কাজের জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি জমান। আর ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে এভাবে রাজ্যের শ্রমিকের বিপদের মুখে পড়ার ঘটনা এর আগেও সামনে এসেছে।