নিজস্ব প্রতিবেদন : বেহালায় বৃদ্ধা খুনে গ্রেফতার করা হল এক কাঠমিস্ত্রিকে। ধৃতের নাম সাহেব পোড়েল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগের দিন বেহালার শিশিরবাগানের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার বাড়িতে এসেছিল সাহেব। এরপর বৃহস্পতিবার দিনই খুন হন ওই বৃদ্ধা। খুনের ঘটনায় প্রথম থেকে পুলিস নিশ্চিত ছিল যে, এর পিছনে পূর্ব পরিচিত কারওই হাত রয়েছে। এরপর ওই ঘর থেকে সাহেবের হাতের ও পায়ের ছাপ মিলতেই জোরালো হয় সন্দেহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, সুলতান নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ি রঙের ভার দেওয়া হয়েছিল। আলম ও রাজেশ নামের দুই রঙমিস্ত্রিকে নিয়োগ করেন সুলতান। বুধবার আলম ও রাজেশ আবার এক কাঠের মিস্ত্রিকে কাঠের কাজে সাহায্য করার জন্য ডেকে পাঠায়। বৃহস্পতিবার খুন হন শুভ্রা ঘোষ দস্তিদার নামে ওই বৃদ্ধা। খুনের তদন্তে নেমে সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই উঠে আসে এদের নাম।


পুলিস মনে করছে, বুধবারই গিয়ে দুষ্কৃতীরা জানতে পারে যে শুভ্রা ঘোষ দস্তিদার নামে সেই সময় একা থাকেন। এরপরই লুঠের ছক কষে তারা। এরপর বৃহস্পতিবার দিন নির্দিষ্ট সময় লুঠের উদ্দেশে হানা দেয় তারা। বাধা দিতেই খুন করা হয় ওই বৃদ্ধাকে। ঘটনার সময় ছেলে ও পূত্রবধূ বাড়িতে ছিলেন না। অফিসে গিয়েছিলেন। নাতনিও গিয়েছিল পড়তে। বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রা ঘোষ দস্তিদার।



বেলা এগারোটা নাগাদ বাড়িতে কাজ করতে আসেন পরিচারিকা। কিন্তু বহুবার ডেকেও কোনও সাড়া পাননি তিনি। সাড়া না মেলায় ফিরে যান তিনি। পরে ফের ফিরে আসেন পরিচারিকা। এরপর প্রতিবেশীদের জানালে, দরজা খুলে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। ঘরের দরজা ভেজানো অবস্থায় ছিল।


আরও পড়ুন, শিক্ষক পেটানোর পালটা অভিযোগ! নিগৃহীত অধ্যাপকের দাবি, 'মমতা ফোন করায় প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে তৃণমূল'


দেহের আশেপাশে প্রচুর জিনিসপত্র ছড়ানো অবস্থায় ছিল। মৃতার শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। মৃতার গলায় নীল রঙের একটি কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ছিল। খুনের ঘটনায় আগেই আলম নামে একজন রংমিস্ত্রিকে আটক করা হয়েছিল। এবার এক কাঠমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হল।