এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সুবীরেশ ভট্টাচার্য
এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নাম উঠে আসে। বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেন। তার থেকে যে তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, তার সঙ্গেও সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সূত্র মেলে।
পিয়ালি মিত্র: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করল সিবিআই। আগেই একাধিকবার সুবীরেশ ভট্টাচার্যের দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতেও তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআই। আগেই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা ও প্রদীপ সিং প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর পাশাপাশি, এসএসসি গ্রুর-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন সিবিআই হেফাজতে আছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ও। সিবিআই হেফাজতে আছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়।
সুবীরেশ ভট্টাচার্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। সিবিআই সূত্রে খবর, এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নাম উঠে আসে। বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেন। তার থেকে যে তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, তার সঙ্গেও সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সূত্র মেলে। প্রসঙ্গত, সিবিআই জেরায় বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির দায় একপ্রকার কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেললেন-ই বলা চলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সিবিআই জেরায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের চাঞ্চল্যকর দাবি, 'ডিপার্টমেন্ট থেকে ফাইল আসত। আমি শুধু সই করতাম। আমার খুব সীমিত ক্ষমতা ছিল। তাঁদের উপর ভরসা রেখেছিলাম।' আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। 'তাঁদের' বলতে কাদের বোঝাতে চেয়েছেন চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়? পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, তিনি গোটা দুর্নীতির দায়টা শিক্ষা দফতরের উপর-ই চাপাচ্ছেন। দফতরের আধিকারিকদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন।
১৬ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে এসে আদালতে কেঁদে ভাসান পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'মরেই যাব। আমাকে বাঁচতে দিন। আমি এমবিএ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে কলঙ্কহীন কেরিয়ার। আমার কী ভূমিকা? এসএসসি আলাদা সংস্থা। তারা সব্য তথ্য মুছে দিয়েছে। আর এখন আমাকে জেলে রাখতে এজেন্সি চক্রান্ত করছে। আমাকে বাঁচতে দিন।' প্রকারন্তরে সেদিনই প্রথম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির দায় এসএসসি-র উপর চাপান পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়।