SSC Scam: মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই শিক্ষা দফতর থেকে নথি সংগ্রহ সিবিআই-এর
ইডির চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ থাকার ঘটনাটিকে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন `অত্যন্ত শকিং` বলে মন্তব্য করেন। বলেন, `আমার নাম কীভাবে এল বুঝতে পারছি না। এরকম কোনও ইন্টারভিউয়ে আমি কখনওই ছিলাম না।`
পিয়ালি মিত্র: মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য উঠে আসার পরই শিক্ষা দফতরের কাছে নথি চেয়ে পাঠায় সিবিআই। চিঠি দিয়ে নথি চেয়ে পাঠানো হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে নথি পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি পাঠিয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নথি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে তলব করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের নাম। অভিযুক্ত হিসেবে নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। ইডির দাবি, পার্থর নির্দেশে অযোগ্যদের ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করতেন মণীশ জৈন। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। আদালতে ইডি দাবি করে, অযোগ্যদের জন্য ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হতে। সেখানেই হতে টাকার রফা। ওইসব ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করতেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন, তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্য ও অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মণীশ জৈন, সুকান্ত আচার্য ও প্রবীর বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেনি ইডি।
ইডির চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ থাকার ঘটনাটিকে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন 'অত্যন্ত শকিং' বলে মন্তব্য করেন। বলেন, 'আমার নাম কীভাবে এল বুঝতে পারছি না। এরকম কোনও ইন্টারভিউয়ে আমি কখনওই ছিলাম না। এনিয়ে তদানীন্তন মন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথাও হয়নি। তিনি আমাকে এরকম কোনও নির্দেশও দেননি। কে, কেন, কী উদ্দেশ্যে আমরা নাম জড়াল, ঈশ্বরই জানেন। এমন লোক আমার নাম করেছে বলা হচ্ছে, যাকে আমি চিনি-ই না। যে প্রক্রিয়ায় আমার কোনও ভূমিকাই ছিল না সেখানে আমার নাম জড়ালে তো কাজ করাই মুশকিল। তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। তদন্তকারীদের উপরে আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে।'
আরও পড়ুন, Panchayat Election 2023: বাহিনী চেয়ে ফের চিঠি কমিশনের, নতুন করে আরও ৪৬৫ কোম্পানির দাবি