নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে নিয়ে ভুবনেশ্বর রওনা দিল সিবিআই। শুক্রবার বেলা ১২টা ২০-র এয়ার ইন্ডিয়া ৭১৯ বিমানে শ্রীকান্ত মোহতাকে নিয়ে কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবারই রোজভ্যালিকাণ্ডে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস কর্ণধারকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড কোম্পানিরও ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি সদর্থক ভূমিকা নেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, চিটফান্ড ব্যানিং অ্যাক্ট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার গ্রেফতারির পর রাতে পরিবারের সদস্যরা সিজিও কমপ্লেক্সে শ্রীকান্তের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাতের খাবার পরোটা, অল্প ভাত, ২ রকম সবজি, ডাল, দই, আচার নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সিবিআই তাঁকে বাড়ির আনা খাবার খেতে দেননি।  বরং সিজিও কমপ্লেক্সে আলু পটলের তরকারির সঙ্গে দুটি রুটি খান শ্রীকান্ত। শুধু বাড়ির দেওয়া উচ্চ রক্তচাপের ওষুধই তাঁর সঙ্গে রাখতে দেওয়া হয়েছে। খুব বেশি কারোর সঙ্গেই কথা বলেননি এসভিএফ কর্ণধার। রাত দেড়টা পর্যন্ত টানা জেরা করা হয় তাঁকে। তারপর আর রাতে ঘুমোননি শ্রীকান্ত মোহতা। সকাল ৮ টায় পাউরুটি-ঘুগনি দিয়ে প্রাতঃরাশ সারেন। এরসঙ্গে তাঁকে দেওয়া হয় লাল চা। সকালের খাবার খাওয়ার পর স্নান করেন শ্রীকান্ত। এরপর শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ফের জেরা শুরু করা হয় তাঁকে।


রোজভ্যালিকাণ্ডে নাম জড়ানোয় জেরার মুখে পড়েন গতবছরই।  সেসময় শ্রীকান্ত মোহতার উত্তরে একেবারেই সন্তুষ্ট হয়নি সিবিআই। তারপর থেকে তাঁকে বার বার তলব করা হলেও, এড়িয়ে গেছেন সিবিআইয়ের নোটিস। শেষপর্যন্ত, শ্রী ভেঙ্কটেশের অফিস থেকেই কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে সিবিআই। এসভিএফ কর্ণধারকে  মূলত আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।



অভিযোগ, রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে ২৪ কোটির চুক্তি হয় শ্রীকান্ত মোহতার। চুক্তি অনুযায়ী,রোজভ্যালির হয়ে বেশকয়েকটি ফিল্ম তৈরির কথা ছিল মোহতার। চুক্তি অনুযায়ী কোনও ফিল্মই শুটিং ফ্লোরে যায়নি। চিটফান্ড ব্যবসায় গৌতম কুণ্ডুকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন মোহতা। ব্যবসা বাড়াতে প্রভাবশালীদের সঙ্গে রোজভ্যালি কর্তার পরিচয় করানোর প্রতিশ্রুতি দেন। সিবিআই জেরায় এসবই জানান রোজভ্যালি কর্তা। শ্রীকান্ত মোহতাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি এসভিএফ কর্ণধার।


আরও পড়ুন, বন্ধুর সঙ্গে 'পরকীয়া' স্ত্রীর? সন্দেহেই বেহালায় মদের আসরে খুন যুবক


পাশাপাশি, সারদাকাণ্ডেও নাম জড়ায় অত্যন্ত প্রভাবশালী এই প্রযোজকের। সারদার একাধিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রভাবশালীদের হাজির থাকতে দেখা যায়। এমন বহু অনুষ্ঠানের মধ্যস্থতাকারী শ্রীকান্ত মোহতা। শুধু মধ্যস্থতা করার জন্যই সুদীপ্ত সেনের কাছে কোটি কোটি টাকা আদায় করেন মোহতা। সারদার থেকে পাওয়া টাকা কোথায় গেল? কার নির্দেশ এসব অনুষ্ঠানে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেন তিনি? মোহতার কাছে এসব উত্তর জানতে চায় সিবিআই। এক্ষেত্রেও,সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি শ্রী ভেঙ্কটেশ কর্তা।